গ্রামের বাঁশ বাগান থেকে বাস তুলে এনে বাঁশের কাজ করে সেই সরঞ্জাম অত্যন্ত স্বল্পদামে বিক্রি করে তারা জীবন ধারণ করে থাকতেন। বর্তমানে অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। বিক্রি নেই এইসব বাঁশের দ্রব্যের। বাজার মূল্য যেখানে কুড়ি থেকে পঞ্চাশ টাকার মধ্যে সেখানে লভ্যাংশ অনেকটাই কম। ফলেই বিভিন্ন রকমের বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে নিতে হচ্ছে বাঁশের শিল্পীদের। তবুও কিছু কিছু পরিবার এখনও লেগে রয়েছেন এই শিল্পের সঙ্গেই।
advertisement
আরও পড়ুন: বেপরোয়া গতি তছনছ করল দুই পরিবার, বাঁধ মানছে না অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর চোখের জল
বাগডিয়া গ্রাম এতটাই প্রত্যন্ত যে সব পরিবারের এখনও বিদ্যুৎ পর্যন্ত পৌঁছয়নি। গ্রামের প্রবীণশিল্পী শম্ভু মাহালী জানান “আগেই অল্প-স্বল্প বিক্রি হত। আমরা সব রকমই বাঁশের দ্রব্য বানাই। তবে বর্তমানে অবস্থা খুবই খারাপ। বিকল্প বলতে মাঠে-ঘাটে কাজ করা ছাড়া আর উপায় নেই। দিনমজুরি করে সংসার চালাতে হচ্ছে।”
শম্ভু মাহালীর এই কথায় স্পষ্ট যে কতটা বিলুপ্তপ্রায় হতে চলেছে এই শিল্প। মাঝেমধ্যেই নাকি বাঁশের শিল্পীদের নিয়ে কাজ করার জন্য বিভিন্ন সংগঠন এবং সরকারের সক্রিয়তা দেখা যায় এমনটাই বলছেন শিল্পীরা। তবে এই ডুবতে থাকা শিল্পের কতটা পুনরুদ্ধার হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়