আরও পড়ুন: বাবার মতো পরিস্থিতি মেয়েরও, সুকন্যার জন্য এল আরও খারাপ সময়! দুশ্চিন্তায় অনুব্রতও
বাঁকুড়ার রানিবাঁধের ভূতগেড়িয়া আমবাঁধ এলাকা থেকে গত ৬ মে ক্ষতবিক্ষত এক কৃষকের দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি শুশনিগেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা গণেশ মুদির বলে চিহ্নিত করে পরিবারের লোকজন। ময়নাতদন্তে জানা যায় ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মৃত গণেশ মুদির সঙ্গে আত্মীয়দের জমিজমা নিয়ে বিবাদের কথা জানতে পারে। এরপরই আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। অরবিন্দ মুদি ও কুশ মুদি নামে দুই আত্মীয় পরিকল্পনা করে গণেশকে খুন করেছে বলে জেরায় স্পষ্ট হয়। এই কাজে এক নাবালক সহ আরও পাঁচ আত্মীয় তাদের সাহায্য করে।
advertisement
তদন্তে উঠে আসে, ৬ মে সকালে গণেশ মুদিকে বাড়ি থেকে ভূতগেড়িয়া আমবাঁধ এলাকায় ডেকে নিয়ে যায় দাশু মুদি। সেখানেই অরবিন্দ মুদি, কুশ মুদি সহ সাতজন মিলে রড দিয়ে গণের মাথায় আঘাত করে। একাধিক আঘাতের জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই কৃষকের। খুনের মোটিভ পরিষ্কার হতেই পুলিশ মৃতের সাত আত্মীয়কে শুশনিগেড়িয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের খাতড়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
প্রিয়ব্রত গোস্বামী