সমিতি ও সংগঠনের নেতৃত্বের নির্দেশ জারি হল বাঁকুড়ার বিভূতিভূষণের উপর। তাঁকে একথা বলা হল, পছন্দমতো সহযোদ্ধা সঙ্গে নিতে। বিভূতিভূষণের উপরই দায়িত্ব দিলেন বারিণ৷ প্রফুল্ল চাকীকেই বেছে নেন করলেন বিভূতিভূষণ। বর্তমানে বাঁকুড়া শহরের বুকে লাল বাজারে গেলে দেখতে পাবেন এই মহান বিপ্লবী বিভূতিভূষণ সরকারের বাড়ি। এখনো সেই বাড়িতে রয়েছেন তাঁর পুত্রবধূ রুপা সরকার।
advertisement
লাট সাহেবকে হত্যার লক্ষ্যপূরণের জন্য তাঁরা চারজনই পুরী প্যাসেঞ্জারে চড়ে বেনাপুর স্টেশনে নেমে যান তাঁরা। এখান থেকে পায়ে হেঁটে আসেন নারায়ণগড়ে । স্ট্র্যাটেজিক জোনে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ল্যান্ডমাইন বসানোর কাজ শুরু করলেন তাঁরা। তখন রাত ৮টা থেকে ৯টা । উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মাইন বসিয়ে উল্লাসকর ও বারীণ কলকাতায় ফিরলেন। তাঁরা দুজন নারায়ণগড় স্টেশনে মাদ্রাজ মেলে উঠেছিলেন। পরবর্তীকালে আলিপুর বোমা মামলায় গ্রেফতার হন তিনি।
যখন ছাড়া পান তখন দেশ স্বাধীন। বাঁকুড়ায় নিজের বাড়িতে ফিরে এসে চরম আর্থিক অনটনের মুখে পড়েন এই বিপ্লবী। বিভূতিভূষণ সরকারের ছেলে সুধাংশু সরকার যাকে সকলে ভালুক সরকার বলে চিনতেন তিনিও আজ নেই। শুধু তার বাড়িতে রয়েছেন পুত্রবধূ।
Nilanjan Banerjee