বাঁকুড়ার এই 'খুনে' হাতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে গত এক সপ্তাহ ধরে বনকর্মীরা উঠে পড়ে লেগেছেন। তাঁরা ২৪ ঘণ্টা হাতির দলটির উপর নজরদারি চালাচ্ছেন। কিন্তু হাতি খেপে গেলে মানুষের এই চেষ্টা আদপে কোনও কাজ করে না। তাই মাঝেমধ্যেই দুই-একটা দুর্ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ক্ষিপ্ত হাতিটিকে জেলায় রাখলে বিপদ বাড়বে বই কমবে না, বুঝেই বিকল্প পথের অনুসন্ধান শুরু করে বন দফতর। পশু বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলার পর ঠিক করা হয়েছে, কোনোভাবে 'খুনে' হাতিটিকে চিহ্নিত করে তাকে উত্তরবঙ্গের দিকে ঠেলে নিয়ে যেতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: পাচারের ঠিক আগে অসম সীমান্তে প্যাঙ্গোলিন সহ ধৃত ১
বন দফতর জানিয়েছে, জঙ্গলে একে তো পর্যাপ্ত খাবারের অভাব তার উপর সঠিক মাত্রায় ঘুম না হলে অনেক সময় হাতি ক্ষেপে যায়। বাঁকুড়ার এই হাতিটিও সম্ভবত সেই কারণেই তাণ্ডব শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ বিশ্রাম পেলে তবেই হাতিটি শান্ত হবে। আর তার জন্যই তাকে নিজের এলাকা থেকে সরিয়ে উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।
সেই লক্ষ্যে বনকর্মীরা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তবে আদৌ এই পরিকল্পনা সফল হবে কিনা তা এখনই বলা মুশকিল।
ঘটনা হল, উত্তরবঙ্গেও এই মুহূর্তে এক 'খুনে' হাতি তাণ্ডব চালাচ্ছে। আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট এলাকায় গত কয়েকদিনে এক 'খুন' হাতের তাণ্ডবে পাঁচ জনের প্রাণ গিয়েছে। সেই হাতিটিকেও এখনও পর্যন্ত বাগে আনতে পারেনি বন দফতর।