সাধারণত একটি বালুচরী শাড়ির মূল্য শুরু হয় সাড়ে সাত হাজার টাকা থেকে। ন্যূনতম মূল্য যেখানে সাড়ে সাত হাজার সেখানে মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে এই শাড়ি। তা বলে কি বালুচরী শাড়ির স্বাদ পাবে না মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্ত বাঙালি? সেই কারণেই এবার পুজোয় বিশেষ আকর্ষণ বালুচরী সালোয়ার কামিজ ও ওড়না। দাম অর্ধেকেরও কম।
advertisement
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় গ্রামে প্রথম দুর্গাপুজো করবেন মহিলারা! কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামিল পড়ুয়ারাও
শিল্পী অরুণ দে বলেন, “যারা বিষ্ণুপুরে আসেন তাঁরা বিষ্ণুপুরী বালুচরী পছন্দ করেন। তাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন শাড়ি পড়তে পছন্দ করেন না। তাদের জন্য বিষ্ণুপুরী বালুচরী সালোয়ার কামিজ ও বালুচরী দোপাট্টা।”
করোনার সময় বালুচরী শিল্পীরা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন প্রাথমিকভাবে। তারপর অনলাইন মাধ্যমে ব্যবসার গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন করতেই লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন তাঁরা। বিষ্ণুপুরী বালুচরী আবারও দাঁড়িয়েছে নিজের পায়ে। পাচ্ছে জগৎজোড়া ভালবাসা। তারই মধ্যে বিষ্ণুপুরের বালুচরী শাড়ি কিনতে বেশ ভিড় দেখা যাচ্ছে শাড়ির দোকানে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব পর্যটন দিবসে জলদাপাড়াতে উষ্ণ আতিথেয়তা! খুশিতে মাতোয়ারা ভিন রাজ্যের পর্যটকরা
নতুন প্রজন্মের ক্রেতাদের মধ্যেও বালুচরী শাড়ির প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। ক্রেতা ধরে রাখতে বালুচরী শিল্পীরা নানা নতুন উদ্ভাবন করেছেন। বালুচরী সালোয়ার কামিজও সেই উদ্ভাবন গুলির অন্যতম। তাছাড়াও থাকছে ওড়না। খুব সহজেই ব্যবহার করা যায় এই ওড়না। সেই কারণে চাহিদা বাড়ছে বালুচরী ওড়নারও।
শিল্পী অরুণ দে বলেন “শাড়ির মধ্যে সবচেয়ে কম মূল্যের বালুচরীর দাম সাড়ে সাত হাজার টাকা। সেই কারণে অনেকেই কিনতে পারেন না এই শাড়ি। কিন্তু সেখানে বালুচরী সালোয়ার কামিজ ও ওড়নার দাম ১৬৫০ টাকা থেকে শুরু।”
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী