ঘটনাটি ঘটছে বাঁকুড়া জেলার বাঁকুড়া-১ ব্লকের অন্তর্গত আন্দারথোল গ্রামে। প্রত্যন্ত গ্রামে কখনও কখনও থাকেনা বিদ্যুৎ। গরমকে উপেক্ষা করে মুঠোফোনের আলো জ্বেলে চলছে চিকিৎসা। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসক ডক্টর প্রিয়দর্শী কুন্ডু, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল অফিসার ডক্টর দীপক গুপ্ত এবং ডঃ সৌরভ দত্ত বিগত আট মাস ধরে সপ্তাহে একদিন করে দিচ্ছেন বিনামূল্যে চিকিৎসার পরিষেবা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে ওষুধ এবং রক্ত পরীক্ষার সুবিধা পর্যন্ত।
advertisement
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অভিজিৎ মন্ডল। কলকাতার সিটি কলেজে পাঠরত অবস্থা থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সমাজের জন্য কিছু করার। সামাজিক মাধ্যমে একটি গ্রুপ তৈরি করেন তিনি। নাম রাখেন “আলোর দিশা কর্মযোগ”। উদ্দেশ্য ছিল, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া। একের পর এক সহৃদয় মানুষ যোগদান করেন এই গ্রুপে। বর্তমানে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া ছাড়াও, আলোর দিশা কর্মযোগের তত্ত্বাবধানে চলছে বিনামূল্যে চিকিৎসার এক বিরাট কর্মযোগ।
দেশের আনাচে-কানাচে রয়েছেন আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া বঞ্চিত দেশবাসী। দেশে রোগী এবং ডাক্তারের অনুপাত যথেষ্ট শঙ্কাজনক। রোগী পিছু ডাক্তারের সংখ্যা অনেকটাই কম থাকা সত্ত্বেও বাঁকুড়া জেলায় রয়েছেন বহু সহৃদয় চিকিৎসক। এই তিনজন তাঁদেরই অন্যতম। সাধারণ মানুষের সেবার জন্য নিয়োজিত করেছেন তাদের প্রাণ।