এই এলাকায় প্রায় 200 পরিবারের বাস।যেকোনো সময় বিষক্রিয়া ঘটতে পারে এই পুকুরের জলের মধ্য দিয়ে। তবুও সেই পুকুরের জলে দিব্যি চলছে বাসন মাজা কাপড় কাচা এবং স্নান। এমনকি ছোট্ট শিশুর মনের আনন্দে গ্রীষ্মের তাপদাহ থেকে বাঁচতে দিচ্ছে ঝাঁপ। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ সব জায়গায় জানিও কাজ হয়নি। পুকুর সংস্কারের বিষয়ে বাঁকুড়া কুচকুচিয়ার বাসিন্দা বাপন দাস বলেন প্রশাসন এই বিষয়ে সব কিছুই জানে। দীর্ঘদিন যাবত এই ভাবেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে পুকুরটির কোনো বেবস্থা নেওয়া হয় নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পুকুরে বাসা বেঁধেছে কচুরিপানা, পড়ে রয়েছে নোংরা আবর্জনা এবং প্লাস্টিক। এই এলাকায় প্রায় 200 পরিবারের বাস।
advertisement
আরও পড়ুনঃ Bankura: শরীর ফিট রাখতে জঙ্গলের মাঝে ইকো জিম তৈরি গ্রামবাসীদের
আশেপাশে সেই রকম পুকুর না থাকায় তারা এই পুকুরের উপর নির্ভরশীল। ওই এলাকায় রয়েছে জলের কষ্টও। তাই এই বেহাল পুকুরের এই অবস্থাতেও বাধ্য হয়ে মহিলারা স্নান করেন কাপড় কাচেন এবং বাসন মাজেন। এই পুকুরে স্নান করলে মাঝে মাঝে দেখা যায় বিভিন্ন চর্ম জনিত রোগ। বছর তিনেক আগে একবার বাঁকুড়ার জেলাশাসক এই পুকুরটি পরিদর্শন করেন । তারপর জেলা শাসক পরিবর্তনের পরে আর কাজ হয়নি। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভোট সময় সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাইতে এলেও ভোটের পর মেলেনা দেখা তাদের।
আরও পড়ুনঃ Bankura: কালবৈশাখীর তাণ্ডবে উড়ল বাড়ির ছাদ
তবে বাঁকুড়া পৌরসভা তাদের সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি বলে তিনি দাবি করেন। তারা চান পৌরসভা হস্তক্ষেপ করে পুকুরটি যাতে খুব শীঘ্রই সংস্কার করুক। বাঁকুড়া পৌরসভার উপ পৌর প্রধান হীরালাল চট্টরাজ বলেন বেশ কিছু পুকুর এখনো সংস্কার হয়নি সেই বিষয়ে বাঁকুড়া পৌরসভার নজর রয়েছে। জি আই এস প্রকল্পের মধ্য দিয়ে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে পুকুরগুলি পরিষ্কারের কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে জানান তিনি।
JOYJIBAN GOSWAMI