একটি হল জ্বরের পর্যায় এবং অপরটি হল গুরুতর পর্যায়। এসব ক্ষেত্রে জ্বরের পাঁচদিনের মধ্যে এন এস ওয়ান ” অ্যান্টিবডি ডিটেক্ট” করা হয়। আবার পাঁচ দিন পরে হলে আইজিএম “অ্যান্টিবডি ডিটেক্ট” করা হয়। ডেঙ্গি হওয়ার পাঁচদিন পর জ্বর কমে গেলেও আশঙ্কা থেকে যায়। রোগ গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গেলে যে সমস্যাগুলি হবে সেগুলি হল রক্তচাপ কমে যাওয়া, প্লেটলেট বা অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যাওয়া এবং রক্ত ক্ষরণ। গুরুতর পর্যায়ে মৃত্যুর আশঙ্কা সব থেকে বেশি।
advertisement
তাহলে কী করে বুঝবেন যে আপনার দেহে মারণ ডেঙ্গি বাসা বেঁধেছে? কী করতে হবে ? বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জেনারেল মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট শ্যামল কুণ্ডু একদম সহজ করে বলে দিলেন মোক্ষম উপসর্গগুলি। তাঁর কথায় উপসর্গ গুলি হল ভীষণ জ্বর ,জ্বর না থাকলেও মাথা যন্ত্রণা, বমি হওয়া, পেটে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট এবং রক্তচাপ কমে যাওয়া। এই উপসর্গ গুলি দেখলেই ভর্তি হতে হবে।
এ বার তাহলে ভাবছেন যে ডেঙ্গির জ্বর হলে কী করবেন, তাই তো? ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানালেন, ডেঙ্গির জ্বরের একমাত্র ওষুধ হল প্যারাসিটামল এবং রোগীকে দিনে তিন থেকে চার লিটার জল পান করতে হবে। ডেঙ্গির জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনও প্রয়োজন নেই। যদি ডেঙ্গির জ্বর ক্রিটিকাল পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখনই ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া যেতে পারে। তার আগে প্রাথমিকভাবে প্যারাসিটামল এবং পানীয় জল ছাড়া আর কোনও ওষুধ নেই। ডেঙ্গি রোগী যদি খেতে পারেন তাহলে ঘরের যে কোনও খাবার খাওয়া যাবে। এরকম অবস্থায় শক্ত খাবার খেতে অসুবিধা হয় তাই তরল খাবার হলে রোগীর খেতে সুবিধা হবে।