রাজনৈতিক আকচাআকচি নয়। দেশ ও সমাজ গঠনের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের অভিমুখ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিপূর্ণ মতামতের ঝড় বয়ে গেল বাঁকুড়ায়। বহু প্রতীক্ষিত এই বিতর্ক সভার পক্ষের বক্তা হিসেবে ছিলেন সফল ব্যবসায়ী মনোজিৎ মণ্ডল, সিদ্ধার্থ সেন ও বিষ্ণু বাজোরিয়া। এই মতের বিপক্ষের বক্তা হিসেবে ছিলেন বিশেষ গুণীজনরা। আর্থিক স্বনির্ভরতা ছাড়া এগোতে পারবে না জাতি, এই বিষয় নিয়ে আলোচনা বেশ আলোড়ন তৈরি করে শহরে। একের পর এক ক্ষুরধার যুক্তি সহকারে চলে তর্ক বিতর্ক। সংকল্প নামে একটি সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত হয় এই বিতর্ক সভা।
advertisement
আরও পড়ুন: বিষয়ে উল্লেখ করলেই মুহূর্তের মধ্যে লিখে ফেলেন কবিতা! অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের অবাক গুণ
পাশ্চাত্যের সঙ্গে প্রাচ্য অর্থাৎ ভারতবর্ষের সঙ্গে পশ্চিমের পুঁজিবাদী দেশগুলির মনোভাবের পার্থক্য আছে। বাঁকুড়ার অন্যতম সফল বৃহৎ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পরশমনি অ্যাগ্রোপ্রোডাক্ট প্রাইভেট লিমিটেডের কর্ণধার সিদ্ধার্থ সেনের মতে, স্বনির্ভর হতে গেলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই একাকী জীবন যাপন করার মনোভাব তৈরি করতে হবে। বাবা-মার সান্নিধ্যে না থেকে নিজের জীবন নিজের হাতেই গড়তে হবে। এরকম চিন্তাধারায় অনেকটাই বিশ্বাসী পাশ্চাত্যের দেশ আমেরিকা।
শিল্পচর্চা, ইতিহাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবকিছু থাকা সত্বেও বাঁকুড়াকে প্রান্তিক জেলা বলে ধরা হয়। এখানে মাঝারি বা বৃহৎ শিল্প নেই বললেই চলে। যদিও উদ্যোগ-পতিদের মতে জেলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন বৃহৎ শিল্প। কৃষিকাজ, প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঠিক কীভাবে এগিয়ে যেতে পারে জেলা বাঁকুড়া সেই দিশা দেখাতেই এই বিতর্ক সভার আয়োজন করা হয়।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী