একদিকে যখন আপনার বাড়িতে মাসের শেষে চড়া বিদ্যুতের বিল আসছে সেখানে বাঁকুড়ার মনোজিৎ মন্ডলের "মডিফাইড সোলার পাওয়ার্ড ফ্ল্যাট" এর দ্বারা প্রতিমাসে সাশ্রয় করছে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। হতাশ হবেন না চাইলে আপনিও বাঁচতে পারেন চড়া বৈদ্যুতিক বিলের হাত থেকে।
আরও পড়ুন: কোরিয়ার খাবার এখন বাংলার গ্রামে-গ্রামে সুপারহিট! 'টর্নেডো' আপনি খেয়েছেন? কোথায় পাবেন?
advertisement
বাঁকুড়ার কাটজুরিডাঙ্গার বাসিন্দা মনোজিৎ মন্ডলকে চেনেন না এমন কেউ নেই। সৌরশক্তি চালিত মডিফাইড গাড়ি তৈরি করে তাক লাগিয়েছেন মনোজিৎ মন্ডল। মাত্র ৩৫ টাকায় ১০০ কিলোমিটার চলছে মনোজিতের "ম্যাজিক কার"। এবার মনোজিতের গ্যারেজ থেকে তার গৃহে প্রবেশ করলে দেখতে পাবেন সম্পূর্ণ সোলার চালিত বৈদ্যুতিক পরিকাঠামো।
বাড়ির প্রত্যেকটি বৈদ্যুতিক মেশিন বা হোম অপ্লায়েনস চলছে সম্পূর্ণ সৌরশক্তিতে। পাঁচ তলার ওপরে ছাদে বসানো আছে সোলার প্যানেল আর সেই সোলার প্যানেল থেকে ডিসি কারেন্ট তারের মাধ্যমে মনোজিৎ বাবুর ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে বসানো ইনভার্টার এর মাধ্যমে এসি কারেন্টে রূপান্তরিত হচ্ছে। এই পুরো ব্যবস্থাটি নিজের ঘরে স্থাপন করতে মনোজিৎ বাবুর খরচা হয়েছে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা।
এই "ওয়ান টাইম ইনভেস্টমেন্ট" করার পরই প্রায় শূন্য হয়ে গিয়েছে মনোজিৎ বাবুর বৈদ্যুতিক খরচ। যে কেউ এই একই সেটআপ বসাতে পারেন তাঁর নিজের বাড়িতে এমনটাই জানিয়েছেন মনোজিৎ মন্ডল।
বর্তমানে শক্তির সংকট দেখা দিয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। জীবাশ্ম জ্বালানি সীমিত তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পাবে। অপরদিকে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি হচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন তাই শক্তির সংকটকে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে সমাধান করতে একমাত্র উপায় সৌরশক্তি।
বাঁকুড়ার দূরদর্শী মনজিৎ মন্ডল সেই কারণেই বেছে নিয়েছেন সৌরশক্তিকে। পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা তো আছেই তার সঙ্গে মনোজিৎ বাবুর পকেটেও প্রভাব পড়েছে। প্রতি বছর কমপক্ষে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার বৈদ্যুতিক বিল সাশ্রয় করছেন মনোজিৎ মন্ডল।
নিলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়