এই উৎসব বা পরবটির মূল উদ্দেশ্য, সাঁওতাল সমাজের বিভিন্ন দেবতাদের স্মরনার্থে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা। প্রকৃতিতে বিরাজমান ঈশ্বরকে নানা উৎসর্গ দানে পরিতৃপ্ত করা মানে, নিজেদের পরিবারে সুখ ও শান্তি বজায় রাখা বলে তারা মনে করেন। পুরুষরা বাজাচ্ছেন ধামসা মাদল। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচ করছেন আদিবাসী রমণীরা। চলছে পুজার্চণা। সাদামাঠা গ্রামীণ জীবন বহু দূরে থেকেও আজও এভাবেই নিজেদের ঐতিহ্য পরম্পরা বাঁচিয়ে রেখেছেন বাঁকুড়া বাসস্ট্যাণ্ড সংলগ্ন শ্রীনগর এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কোভিডের কালো ছায়া কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরল সোনামুখী কালী কার্নিভাল
নিজস্ব সংস্কৃতিকে তাঁরা ধরে রাখার পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মের মধ্যেও তা ছড়িয়ে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। আর সেই লক্ষ্যেই সম্মিলীতভাবে শহরবাসী আদিবাসী সমাজের মানুষ তাঁদের তৈরী 'বাঁকুড়া নাগার আতো সারি সহরায় সংগঠনের মাধ্যমে বছরভর নানান কর্মসূচী হাতে নেন তাঁরা। নিজেদের ঐতিহ্য আর পরম্পরা রক্ষায় নবপ্রজন্মের আগ্রহ বাড়ছে। এই অনুষ্ঠানে তাদের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ও অংশগ্রহণই সে কথা প্রমাণ করে।
Joyjiban Goswami