‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’, তারই এক নিদর্শন দেখালেন বাঁকুড়ার মেয়ে মেঘা। চলতি অনুষ্ঠানের মাঝেই ডাক পান মেঘা রুইদাস। সেই মুহূর্তে পাননি কোনও ট্রেনের রিজার্ভেশন। স্বপ্নের হাতছানিকে উপেক্ষা করতে না পেরে অনিশ্চয়তা নিয়ে বাবার হাত ধরে বেরিয়ে পড়ে মেঘা। প্রায় আটচল্লিশ ঘণ্টা ধরে জেনারেল বগির ভিড় উপেক্ষা করে তাঁরা পৌঁছান মুম্বই। মেয়ের এই সফলতাতে আবেগঘন হলেন বাবা অরুণ রুইদাস।
advertisement
ঘরে রয়েছে স্থান অকুলান। তার মধ্যেই অনুশীলন করেন মেঘা। বড় জায়গার দরকার হলে রাত ১০ টার পর রাস্তায় অনুশীলন করেছেন তিনি। স্বল্পতাকে আশ্রয় করেও সফলতার পথে মেঘা রুইদাস। মেঘার মা নীতু রুইদাস জানালেন সেই সংগ্রামের গল্প। বাঁকুড়া থেকে মুম্বই যাওয়ার অভিযান মোটেই ছিল না সহজ।
অজুহাত দেন না মেঘা। বাঁকুড়া শহরের পাঁচবাগা বিবাদীবাগ এলাকায় তাদের বাড়িতে মেঘার ঘরটি দেখলেই সেই কথাটা স্পষ্ট হবে। চুন সুড়কি খসে পড়লেও আর পাঁচটা তরুণীর মতই পরিপাটি করে সাজানো রয়েছে তার ঘর। ঠিক একই ভাবে ধীরে ধীরে সেজে উঠছে নৃত্য নিয়ে মেঘার ভবিষ্যৎ।