আড়াই মাস আগে শিক্ষাবর্ষর শুরুতে শিবদাস সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুলে নবম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয় এক ছাত্রী। দশম শ্রেণিতে ভর্তির যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পর স্কুলের তরফে তাকে দশম শ্রেণির বইপত্রও দিয়ে দেওয়া হয়। আড়াই মাস পর সম্প্রতি ওই ছাত্রীকে স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানানো হয় দশম শ্রেণিতে নয় তাকে পুনরায় নবম শ্রেণিতে পড়তে হবে। ছাত্রীর অভিযোগ শারিরীক অসুস্থতার কারণে সে নবম শ্রেনীতে সেভাবে ক্লাস করতে ও সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে পারেনি। তারপর ছাত্রীর পরিবারের অনুরোধে ও মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে তাকে দশম শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: শ্বশুরবাড়ি কিছুতেই পরীক্ষা দিতে দেবে না! যা করল ছাত্রী, আপনি কুর্নিশ জানাতে বাধ্য
ছাত্রীর অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তার পরিবারের কাছে এর জন্য একটি সংস্থার নামে পাঁচ হাজার টাকা চায়। ভাইরাল হওয়া একটি অডিও টেপে দু'পক্ষের মধ্যে কথোপকথনে তার প্রমাণ রয়েছে বলে দাবী ছাত্রীর পরিবারের। প্রাথমিকভাবে প্রধান শিক্ষিকার দাবী মতো টাকা ছাত্রীর পরিবার দিতে রাজি হলে তাকে দশম শ্রেণিতে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন প্রধান শিক্ষিকা। পরে পরিবার ওই টাকা না দেওয়াতেই আড়াই মাস পর ফের তাকে নবম শ্রেণিতে পড়ার সিদ্ধান্ত জানান প্রধান শিক্ষিকা। প্রধান শিক্ষিকা টাকা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে ওই ছাত্রী ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে স্থানীয় বিষ্ণুপুর থানা ও মহকুমা শাসকের কাছে। টাকা চাওয়ার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা। তাঁর দাবী শিক্ষা পোর্টালে ভুল তথ্য আপলোড হয়ে যাওয়াতেই সমস্যা হয়েছিল। ওই ছাত্রী ক্লাস না করায় ও সেমিস্টারের পরীক্ষা না দেওয়ায় স্টাফ কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে নবম শ্রেণিতে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর ও মহকুমা প্রশাসন।
দেবব্রত মন্ডল