TRENDING:

Bankura News: আর্মি, রেলের চাকরি পেয়েও আজ  চপ ভাজছেন বাঁকুড়ার দেবেশ, একেবারেই আলাদা এই চপ

Last Updated:

স্বপ্নের আর্মির চাকরি এবং রেলের চাকরি দুটোই করেননি। আর্থিক দুর্দশায় নুন আনতে পান্তা ফুরাত। চোখে জল আনবে দেবেশের জীবন কাহিনী 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার মাচান তলায় এই চপের দোকানটিতে আপনি নিশ্চয়ই চপ খেয়ে থাকবেন। বাঁকুড়ার জনৈক দেবেশ দে বা দেবেশ দার চপের দোকান নামে পরিচিত এই দোকানটি। একসময় বাঁকুড়ারই স্বনামধন্য বিদ্যালয় বাঁকুড়া জিলা স্কুলের উজ্জ্বল ছাত্র ছিলেন দেবেশ দে। ১৯৮৫ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর সব দায়িত্ব এসে পরে দেবেশ বাবুর ওপর। দিদি এবং বোনের বিয়ে দেওয়ার জন্যে ১৯৮৮ এবং ১৯৮৯ সালে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন স্বপ্নের আর্মির এবং রেলের চাকরি।
advertisement

ভাল পড়াশোনা জানা থাকা সত্ত্বেও অর্থের অভাবে লটারি বিক্রি পর্যন্ত করতে হয়েছে দেবেশ বাবুকে। করোনার লকডাউনে দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক ভাবে কোমর ভেঙে যায় দেবেশ বাবুর। বর্তমানে চপ বিক্রি করেই সংসার চালাচ্ছেন তিনি। বলছেন কোনো কাজই ছোট নয়, নিষ্ঠা ভরে কাজ করে যাওয়াই সব। মাচান তলায় দেবেশের এই চপের দোকানে এখন প্রায় তিন ধরনের চপ ছাড়াও পাওয়া যায় অন্যান্য আরও আইটেম।

advertisement

আরও পড়ুন -  Weather Forecast|| হঠাৎ হঠাৎ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি, বজ্রবিদ্যুতের দাপট, ঝোড়ো হাওয়ায় জীবন নাকাল

দেবেশের চপের দোকানে ভিড় দেখলে চোখ কপালে উঠবে। এক মুহূর্ত দাঁড়ানোর সময় নেই দেবেশের। এই দোকানের মোচার চপ, পনির চপ এবং আলুর চপ খেতে দূর দূরান্ত থেকে ভিড় জমায় মানুষ। পুরনো তেলে নয় খাঁটি তেলে ভাজা হয়ে চপ। আর সেই কারণেই চপ খেতে বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ভিড় জমায় মানুষ।

advertisement

View More

আরও পড়ুন -  Purulia News : এত বড় পদ পেয়েও আজও তিনি লম্বু মিস্ত্রি, কাজ করেন মোটর মেকানিকের, আসলে তিনি কে

দেবেশ এর এই চপের দোকানে মোচার চপের চাহিদাই সব থেকে বেশি। বাঁকুড়া জিলা স্কুলের উজ্জ্বল ছাত্র দেবেশ দের আর্থিক অবস্থা ভেঙে চুরমার হয়ে যায় করোনার লকডাউনে, কিন্তু থেমে না থেকে চপ বিক্রি করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

advertisement

কোন কাজ ছোট না, নিষ্ঠা ভরে সম্মানের সাথে যে কোন কাজই এনে দিতে পারে সাফল্য। শুধু কর্ম করে যাওয়াই যেন মানুষের লক্ষ্য। ঠিক একইভাবে নিষ্ঠা ভরে কাজ করছেন দেবেশ দে। বিক্রি করছেন চপ। অনেক কিছুই না পাওয়া রয়ে গেছে তার তবুও কোন অভিমান বা অভিযোগ নেই কারোর কাছে। চা ,চপ এবং লটারি বিক্রি সবই করেছেন দেবেশ বাবু। আজ চপ বিক্রি করে বাঁকুড়ার মানুষের মন জয় করেছেন তিনি এবং একই সাথে হাসি ফুটিয়েছেন নিজের পরিবারের মুখে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

Nilanjan Banerjee

বাংলা খবর/ খবর/বাঁকুড়া/
Bankura News: আর্মি, রেলের চাকরি পেয়েও আজ  চপ ভাজছেন বাঁকুড়ার দেবেশ, একেবারেই আলাদা এই চপ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল