স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মহাষ্টমীর দিন বিকেলে বাড়ি থেকে নতুন পোশাক পরে সুজন রুইদাস নামে ওই যুবক বাড়ি থেকে বেরোই। তারপর থেকে আর বাড়ি ফিরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোনো সন্ধান না পাওয়ায় অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। বাঁকুড়া সদর থানায় পুরো বিষয়টি জানিয়ে লিখিত আকারে একটি নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। অবশেষে আজ শুক্রবার সকালে কেশিয়াকোলে ওই যুবকের বাড়ি থেকে একটু দূরেই একটি পরিতক্ত ঝোঁপ থেকে তার দ্বিখণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আর এই মৃতদেহ কে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা কেশিয়াকোল এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।
advertisement
স্থানীয়দের দাবি, কেশিয়াকোল এলাকা 'অ্যান্টিসোশ্যাল জোনে' পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর এই এলাকায় কেউ না কেউ খুন হচ্ছেন। পুলিশ কুকুর এনে ঘটনার তদন্ত করে এই ঘটনায় যুক্ত অপরাধীকে চিহ্নিত করে কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। মৃত যুবকের মা কবিতা রুইদাসের বলেন, জনৈক অমিয় মহাষ্টমীর দিন তাকে বাড়ি থেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই ছেলের খোঁজ মেলেনি। ওই দিন আটটার পর থেকে আর ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। এই খুনের ঘটনায় 'ছেলের বন্ধুরাই জড়িত' বলে তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: লটারিতে হারিয়েছিলেন সর্বস্ব, সেই লটারিই যুবককে বানালো কোটিপতি
ওই এলাকার মানুষ দীর্ঘক্ষণ মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে ঘুরে দেখেন বাঁকুড়া জেলা পুলিশের ডিএসপি ডিএনটি সুপ্রকাশ দাসে।পরে পুলিশের পক্ষ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে জন্য। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জয়জীবন গোস্বামী