আরও পড়ুন: মে মাসেই কী পঞ্চায়েত ভোট? কাল সর্বদলীয় বৈঠক
গত রবিবার বাগুইআটির দেশবন্ধু নগরের বাসিন্দা স্বপ্না কুণ্ডু ডাকাতির অভিযোগ করেন। ছিল মারধরের অভিযোগও। কিন্তু বিধাননগর গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত শুরু করতেই বয়ান বদলে ফেলেন তিনি। বারবার বয়ান বদল ও ডাকাতদের সম্পর্কে এমন উদারতার কথা বলতেই সন্দেহ দৃঢ় হয় গোয়েন্দাদের। শুরু হয় স্বপ্না কুণ্ডুর মোবাইল ফোনে নজরদারি। প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজারহাটে মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু, উদ্ধার দেহ
১) মৃত ছেলের বন্ধু সঞ্জীবের সঙ্গে গৃহকর্ত্রী স্বপ্নার সম্পর্ক রয়েছে
২) আরও কয়েকজন পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্বপ্নার
৩) অন্য সম্পর্কের কথা জেনে ক্ষুব্ধ সঞ্জীব
৪) মহিলার স্বামীকে সবকিছু জানিয়ে দেওয়ার হুমকি
৫) স্বপ্নাই আগেভাগে স্বামীকে সঞ্জীবের অশ্লীল মেসেজ পাঠানোর কথা জানান
৬) এরপর সঞ্জীবকে বাড়ি থেকে বের করে দেন স্বপ্নার স্বামী
৭) এরপরই সঞ্জীবের সঙ্গে ঝামেলা শুরু স্বপ্নার
আরও পড়ুন: বাগুইআটি ডাকাতিতে নয়ামোড়! মিথ্যে বলেছেন গৃহকর্ত্রী স্বপ্না কুণ্ডু
স্বপ্না নিজেও সঞ্জীবের সঙ্গে ঝামেলার কথা স্বীকার করেছেন। পরে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে ফের স্বপ্নার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেন সঞ্জীব। স্বপ্নাও তা মেনে নেন। রবিবার উপহার দেওয়ার অজুহাতে সঞ্জীব ও তাঁর সঙ্গীরা স্বপ্নার বাড়ি আসে। কলিং বেলের আওয়াজে স্বপ্না দরজা খুলতেই শুরু হয় লুঠপাট। গোয়েন্দাদের দাবি, তাঁরা হামলাকারীদের স্কেচ আঁকাতে চাইলে অসহযোগিতা করেন স্বপ্না। এরপর সঞ্জীব সহ স্বপ্নার সঙ্গে সম্পর্ক থাকা অন্যদের ওপর নজরদারি শুরু হয়। এদিকে, ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় সঞ্জীব ও তার দুই বন্ধু। তাতে তাদের ওপর সন্দেহ আরও বাড়ে।