শিরা-ধমনী বেয়ে চলে যায় হৃদযন্ত্রে, এই ৭ ‘লক্ষণ’…! হলেই বুঝবেন ‘হার্ট ব্লক’ হচ্ছে! ফেলে রাখলে সব শেষ…
সেই রঙেরও আবার কত না বাহার! শুধু কী রঙ, অনুষঙ্গে একে একে এসে জড়ো হয় পিচকিরি, রঙবেলুন, কত কী! প্রাচীনকালে, হোলি প্রাকৃতিক রঙ দিয়ে খেলা হত, বিশেষ করে ফুল থেকে তৈরি আবির দিয়ে, কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই উৎসবের রঙেও এসে লেগেছে রাসায়নিকের ছোঁওয়া। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে হোলিকা নামে এক দানবীকে তার কৃতকর্মের জন্য আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই প্রতি বছর ফাল্গুন পূর্ণিমার দিনে হোলি উৎসব পালিত হয়। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে মানুষের মনে একই প্রশ্ন জাগে, খারাপকে পরাজিত করে ভালর জয়ের এই উৎসব উদযাপনে রঙখেলা শুরু হল কী ভাবে।
advertisement
(ছবি- Chat Gpt)
হোলিতে রঙের ব্যবহার কীভাবে শুরু হয়েছিল, এই প্রশ্নের উত্তরে হরিদ্বারের পণ্ডিত শ্রীধর শাস্ত্রী বলেছেন যে, হোলি উৎসব হিন্দু ধর্মের একটি বিশেষ উৎসব। এই উৎসব সৌভ্রাতৃত্বের প্রতীক এবং মন্দের উপরে ভালর বিজয়ে উৎসব। এই দিনে মানুষ একে অপরের গায়ে রঙ লাগিয়ে উৎসব পালন করে। এই দিনে হোলিকা নামের দানবীর কুশপুত্তলিকা তৈরি করে পোড়ানো হয় এবং একে অপরের গায়ে রঙ লাগিয়ে উৎসব উদযাপন করা হয়। হোলির দিনে মানুষ সব শত্রুতা ও ভেদাভেদ ভুলে ভ্রাতৃত্বের রঙে একত্রিত হয়ে এই উৎসব পালন করে।
ধর্মীয় গাথা অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণ, সমস্ত কলা দ্বারা সমৃদ্ধ ভগবান বিষ্ণুর অবতার, বর্ণে ছিলেন কালো এবং রাধা ছিলেন ফর্সা। এই বিষয়ে শ্রীকৃষ্ণ যখন মা যশোদাকে অভিযোগ করেন, বলেন তাঁর গায়ের রঙ কালো আর রাধার কেন ফর্সা, তখন মা যশোদা ছেলেকে মজা করে বলেছিন, তিনি যদি রাধার গায়ে রঙ লাগিয়ে দেন, তাহলেই তাঁর গায়ের রঙও আর কৃষ্ণের মতো ফর্সা থাকবে না। কৃষ্ণ তা-ই করেন! বলা হয় যে ঘটনাটি ঘটেছিল ফাল্গুন মাসেই এবং এর জেরেই হোলিতে শুরু হয় রঙের ধারা নিয়ে খেলা।