বিশেষ করে বুধ, বৃহস্পতি এবং রবিবারে অরণ্যে যেন দর্শনার্থীদের মেলা বসে যায়। দেখা যায়, কেউ বা এসেছেন মনোস্কামনা পূর্ণ হওয়ার পরে পূজা দিতে, কেউ বা আবার দেবীর দরবারে নিজের দুঃখের কথা জানিয়ে ফুল দিয়ে যান। কারও মনোস্কামনাই যে অধরা থাকে না, সে কথা জানিয়েছেন মন্দিরের বৃদ্ধা দেয়াসিনী মুসালাম্মা। ৮০ বছরের এই বৃদ্ধাই দেবীর সেবা করেন, মন্দিরের দেখভাল করেন। সময় বিশেষে মুককিড়ি পোচাম্মা ভরও করেন দেয়াসিনীর শরীরে, তখন মুসালাম্মার মুখ দিয়েই নির্গত হয় ভক্তের পাপ-পুণ্যের হিসেব এবং ভবিষ্যতের গর্ভে লুকিয়ে থাকা গোপন সত্য।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘ভাইরাল’ বলেন কথায় কথায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় কী ভাবে চালু হল এই শব্দ, আপনি জানেন?
আরও পড়ুন: শরীরে নেই কোনও কাঁটা, অথচ বিরাট দাঁত! সমুদ্রতটে বিরল মাছ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য
দেবী এত জাগ্রত হলেও এই মন্দিরে কিন্তু তাঁর কোনও বিগ্রহ নেই। কেন নেই, সেই রহস্য নিউজ ১৮-এর কাছে উদঘাটন করেছেন দেয়াসিনী মুসালাম্মা। জানিয়েছেন যে বেশ কয়েকশো বরছর আগে অরণ্যে এই স্থানেই মুককিড়ি পোচাম্মাকে সমাধিস্থ করা হয়। তাঁর অতি পুণ্য সেই সমাধিই পূজা করা হয় বিগ্রহ রূপে। এই মাটির স্তূপে বাস করে এক বিশালাকার মহাবিষধর গোখরো সাপও, তবে সে কোনও দিন কোনও ভক্ত বা তাঁর ক্ষতি করেনি বলেই জানিয়েছেন মুসালাম্মা।
মুলুগুর জঙ্গলে তাই ভক্তের আনাগোনা লেগেই থাকে। দেবীর কাছে সন্তানের আবদার করতে হোক বা মনোস্কামনা পূর্ণ হলে কৃতজ্ঞতা জানাতে হোক, অবিরল দর্শনার্থীর আগমনে জেগে থাকে মুককিড়ি পোচাম্মার সমাধি মন্দির।
বেণু মেদিপল্লী