এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?
ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ (Panchang) হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ২২ ডিসেম্বর পড়েছে ২০৭৮ বিক্রম সম্বতের পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে। রাজা বিক্রমাদিত্য যে বছর গণনার রীতি প্রবর্তন করেছিলেন, সেই বিক্রম সম্বত অনুসারে এই পঞ্জিকা নির্ধারণ করা হয়ে হয়েছে। বার হল বুধ এবং এই তৃতীয়া তিথি থাকবে ২২ ডিসেম্বর বিকেল ৪টে ৫২ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথি।
advertisement
আরও পড়ুন - Husband and Wife: অপরূপ সুন্দরী স্ত্রী, খোদ স্বামী ‘এই’ কাজ করলেন, আতঙ্ক
যে হেতু বিকেল ৪টে ৫২ মিনিটের পরেই চতুর্থী তিথি শুরু হয়ে যাচ্ছে, তাই পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের এই চতুর্থী তিথিতেই গণেশ দেবতার উদ্দেশে পালিত হবে সঙ্কষ্টী চতুর্থী ব্রত।
পঞ্জিকা মতে আজ সূর্যোদয় হয়েছে সকাল ৭টা ০৮ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ২২ ডিসেম্বর রাত ৮টা ৩০ মিনিটে। চন্দ্র অস্ত যাবে ২৩ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে।
আরও পড়ুন - Ravichandran Ashwin Explosive: ‘কেউ ছিল না পাশে ভেবেছিলাম অবসর নেব’-বোমা ফাটালেন অশ্বিন
এই ২০৭৮ বিক্রম সম্বতের পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের তৃতীয়া তিথির নক্ষত্র হল পুষ্যা। ২৩ ডিসেম্বর, রাত ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত পুষ্যা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পর তিথিতে অবস্থান করবে অশ্লেষা নক্ষত্র।
সূর্য অবস্থান করবে ধনু রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবে কর্কট রাশিতে।
শুভ মুহূর্ত (Subh Muhurat)- ২২ ডিসেম্বর অভিজিৎ মুহূর্ত পড়েনি। অমৃতযোগ ২২ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে বিকেল ৫টা ৪৪ মিনিট থেকে, শেষ হচ্ছে সন্ধে ৭টা ২৯ মিনিটে। এই অভিজিৎ মুহূর্ত এবং অমৃতকালকে ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রের অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।
অশুভ মুহূর্ত (Rahu Kalam)- পঞ্জিকা মতে ২২ ডিসেম্বর রাহুকাল শুরু হচ্ছে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে, শেষ হচ্ছে দুপুর ১টা ৪৪ মিনিটে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।