ব্যাপারটা অনেকটা রাশি মিলিয়ে জোটক খোঁজার মতোই। তফাতের মধ্যে এখানে কাজ করবে জন্মতারিখ। দেখে নেওয়া যাক, সংখ্যাতত্ত্ব মতে যাঁদের সংখ্যা ৩, তাঁদের জন্য কোন সংখ্যা সঙ্গী/সঙ্গিনী রূপে আদর্শ হতে পারে বা পারে না।
এই জায়গায় এসে একটা কথা বলে রাখা উচিত। জন্মতারিখ অনুযায়ী হিসেব-নিকেশ করে সংখ্যাতত্ত্বের ক্ষেত্রে ভাগ্যগণনা করা হয়ে থাকে। যেমন ধরে নেওয়া যাক, কারও জন্মতারিখ ১১। এক্ষেত্রে তাঁর জন্মগত সংখ্যা হবে ১+১= ২। ফলে তাঁকে সংখ্যাতত্ত্বের #২-এর গণনা দেখতে হবে। অর্থাৎ নিজের জন্মতারিখের যোগফল হিসেব করে সংখ্যাতত্ত্বের গণনা করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ত্রিপুরা নিয়ে তৃণমূলকে 'ভবিষ্যদ্বাণী' খোঁচা শুভেন্দুর! সোশ্যাল মিডিয়ায় যা লিখলেন...
এই হিসেবে সংখ্যা ৩ রূপে গণ্য হবেন কারা? যাঁদের জন্ম ৩, ১২, ২১ এবং ৩০ তারিখে। এই সংখ্যার অধিপতি গ্রহ বৃহস্পতি। আর একারণেই সংখ্যা ৭-এর জাতক-জাতিকারা, যাঁদের জন্ম ৭, ১৬ এবং ২৫ তারিখে, তাঁরা সংখ্যা ৩-এর পক্ষে দারুন উপযুক্ত। কেন?
কারণ, সংখ্যা ৭ –এর অধিপতি কেতু, সেই জন্যেই-
- ৭ একটি বিশেষ সংখ্যা। এটি আধ্যাত্মিকতা এবং প্রজ্ঞার অপার আধার। তাছাড়া ৭-এর অধিপতি কেতু বলেই এঁদের বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তা অদম্য।
- অন্যদিকে ৩ সংখ্যাও জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার আধার। তাই এই দুই সংখ্যার জাতক জাতিকা ব্যাপক সাফল্য এবং প্রশংসা পেতে পারে।
- ব্যবসায়িক অংশীদাররা যে কোনও সিদ্ধান্ত যুক্তিসঙ্গত ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। ফলে ব্যবসায় ক্ষতির সম্ভাবনা কমে যায়।
- দম্পত্যের ক্ষেত্রেও পরিপক্কতা দেখা যায়। এঁরা বাস্তববাদী হয়ে থাকেন।
- এঁরা পরস্পরকে জায়গা ছেড়ে দিতে প্রস্তুত থাকে। ফলে পারস্পরিক সুবিধার দিকেও লক্ষ্য রাখে।
- কিন্তু, এঁদের যুক্তিবাদী মন পরস্পরের মধ্যে একটা দূরত্বও রাখা। ফলে দম্পতির মধ্যে কম মানসিক সংযুক্তি তৈরি হয়।
আবার, সংখ্যা ৮, যাঁদের জন্ম ৮, ১৭ এবং ২৬ তারিখে, তাঁরা সংখ্যা ৩-এর পক্ষে তেমন ভাল সঙ্গী হয়ে না উঠতে পারলেও চেষ্টা করলে সম্পর্ক টিঁকে যায়, কারণ-
- ৮ ও ৩-এর মধ্যে একটা গড়পরতা সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।
- ৮ হল কঠোর পরিশ্রমী এবং বিচারবাদী। কিন্তু ৩ নিজের প্রতিভা এবং অভিব্যক্তির উপর জোর দিতে পছন্দ করে।
- এঁরা উভয়ই নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে থাকে এবং অন্যের বিষয়ে কম আগ্রহী।
- ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে এঁদের নিজেদের বিষয় নিজেদের বুঝে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অন্যের উপর ভরসা না করাই ভাল।
- দম্পতিদের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগকে ব্যবহার করা উচিত।
- বাড়িতে একটি তুলসি চারা গাছ লাগানো বাধ্যতামূলক। প্রতি সন্ধ্যায় সেখানে প্রদীপ জ্বালালে ইতিবাচকতা বৃদ্ধি পাবে।
- বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থ, জ্যোতিষ এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে এঁরা সফল হতে পারেন।
- ধ্যান অনুশীলন করা যেতে পারে।