টাকা বাড়ানোর সহজ পদক্ষেপ—
এ পৃথিবীতে কে-ই বা জীবনে ধনী হতে না চায়! ধনী হতে না চাইলেও অন্তত একটা স্বচ্ছল জীবন, অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য সকলেই চান। টাকাকে নিজের জীবনে ডেকে আনা যেতে পারে, যাকে বলা হয় ম্যানিফেস্টিং (Manifesting Money)। তবে হ্যাঁ, এই বিশ্বাস নিজের মধ্যে রাখতে হবে, এবং অবশ্যই বিষয়টিকে গোপন রাখতে হবে। অন্য কাউকে তা জানানো চলবে না। নীচে কয়েকটি পদক্ষেপের কথা রইল, যার সাহায্যে এই টাকা আকৃষ্ট করার কাজটি সহজে করা যেতে পারে। যখন এই পদক্ষেপগুলি কেউ গ্রহণ করবেন, তাঁকে তা মন থেকে বিশ্বাস করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- 'P' দিয়ে নাম শুরু? জ্যোতিষ যা বলছে, সব মিলছে তো?
১. মানিব্যাগ পরিষ্কার রাখা—
এটি একটি অত্যন্ত সহজ কৌশল যা অর্থ আকৃষ্ট করার জন্য চেষ্টা প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। নিজের ‘মানিব্যাগ’ পরিষ্কার করে রাখতে হবে। অনেক সময়ই কোনও রশিদ আমরা ব্যাগে রেখে দিই। পরে তা ভুলে যাই। দিনের পর দিন টাকার সঙ্গে থেকে যায় ওই রশিদ। এ সব থেকে মুক্তি পেতে হবে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত কার্ড যা, ইতিমধ্যেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে, তা-ও বের করে ফেলতে হবে। নোটগুলি সোজা ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখতে হবে। এর পর সব থেকে বেশি মূল্যের নোটটি নিজের মুখোমুখি করে রাখতে হবে। তার পর এক মুহূর্তের জন্য অর্থ সংক্রান্ত ইতিবাচক কিছু ভাবতে হবে।
২. লক্ষ্য স্থির করে রাখা—
উপার্জিত অর্থের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে রাখা দরকার। উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঠিক কী করতে চান, তা নিজের মতো করে স্থির করে রাখতে হবে। কিছু কেনার থাকলে তা সম্ভব হলে বেছে রাখা বা ভেবে রাখা দরকার। অথবা, কোনও নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কী ভাবে ব্যয় করতে চান, তা স্থির করে রাখতে হবে। একে ‘অর্থ শক্তি’ বলা হয়। সকলের গৃহেই এই অর্থশক্তি থাকা খুব জরুরি। দিক নির্দেশ না থাকলে অর্থ হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, বা অকারণে খরচ হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন- আশাবাদী এবং বাস্তববাদী মনের মানুষ; 'N' দিয়ে নাম শুরু হলে আর কী বলছে জ্যোতিষ?
৩. কৃতজ্ঞ থাকা—
জীবনের যে কোনও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রাথমিক ভিত্তি হল কৃতজ্ঞতা। অর্থ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রেও মূল উপাদানগুলির মধ্যে একটি এই কৃতজ্ঞতা। রবীন্দ্রনাথ সেই কবেই বলে গিয়েছেন, ‘কী পাইনি তার হিসাব মিলাতে মন মোর নহে রাজি’। আসলে ভাবতে হবে কী পেয়েছি। যা আছে তাকে সর্বদা উপলব্ধি করতে হবে এবং দীর্ঘ জীবনের প্রাপ্তি সম্পর্কে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। প্রয়োজনে একটি খাতায় লিখে রাখতে হবে, এ জীবনে কত অর্থ খরচ হয়েছে, কত কী পাওয়া গিয়েছে। আর সে সব কিছুর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে।
৪. ইতিবাচক বিশ্বাস—
সব সময় ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে চলতে হবে। যে সমস্ত শব্দ আমরা ব্যবহার করি, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা যেমন একদিকে ধ্বংস করতে পারে বা তেমনই তা জাদুও করতে পারে। তাই কোনও কথা বলে ফেলার আগে দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে। এমনকী কোনও ব্যক্তি যদি খুবই অর্থ সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যান, তখনও মন এবং বাক্য ইতিবাচক রাখা জরুরি। তাতেই অর্থ আকৃষ্ট হবে। আর্থিক সঙ্কটকালেও মনের মধ্যে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে অর্থের সীমাহীন উৎস রয়েছে, এবং আমারই জন্য থাকবে। মন পরিষ্কার, শঙ্কামুক্ত রাখতে হবে এবং নিরন্তর অপেক্ষা করে যেতে হবে ইতিবাচক কোনও কিছু ঘটার জন্য।