জাহানাবাদ জেলার গৌরক্ষিণী ধাম মন্দিরের পুরোহিত ভোলা পাণ্ডে বলেন, হিন্দু পঞ্জিকা মতে, কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে কালাষ্টমী উৎসব পালন করা হয়। কালাষ্টমী উৎসব আবার মাতা শীতলার আচার হিসেবে পরিচিত। কেউ যদি জল না পান করে এই কালাষ্টমী ব্রত পালন করেন, কিংবা উপবাস পালন করেন, তাহলে তিনি দেবী শীতলার অপার আশীর্বাদ লাভ করতে পারবেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভুল করেও ‘এই’ কাজগুলি অক্ষয় তৃতীয়ায় করবেন না! রুষ্ট হবেন মা লক্ষ্মী, জীবন ছারখার হয়ে যাবে
কালাষ্টমী উপবাসের ধরন:
গৌরক্ষিণী ধাম মন্দিরের পুরোহিত ভোলা পাণ্ডের বক্তব্য, কালাষ্টমীর উপবাস তিনটি ভাগে করা যেতে পারে। প্রথম ভাগে রাখা যেতে পারে ফল। এই ধরনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ফলই খাবার হিসেবে গ্রহণ করা যায়। দ্বিতীয়টি সম্পূর্ণ উপবাস আকারে পালন করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু খাওয়া যায় না। আর তৃতীয়টি হল নির্জলা। এক্ষেত্রে কোনও কিছু না খেয়ে এবং জল পান না করে সম্পূর্ণ রূপে উপবাস পালন করা হয়। এই তিন রকম ভাবেই কালাষ্টমী ব্রত পালন করা যেতে পারে। এর ফলে মাতা শীতলা তুষ্ট হন এবং কাঙ্খিত ফল লাভ করতে পারেন।
মা শীতলা এবং বাবা ভৈরবনাথের পুজো:
গৌরক্ষিণী ধাম মন্দিরের পুরোহিত ভোলা পাণ্ডে জানিয়েছেন, কালাষ্টমীর দিন মা শীতলা ও বাবা ভৈরবনাথের পূজা করা হয়। বাবা ভৈরবনাথের কাছে প্রার্থনা করা হয়। আসলে বাবা ভৈরবনাথের মাধ্যমেই দেবী শীতলার কাছে বার্তা বা নিজের মনের ইচ্ছে পাঠানো যেতে পারে। তাই বাবা ভৈরবনাথের পুজো করা হয়। সেই সঙ্গে মাতা শীতলার উদ্দেশ্যেও পুজো নিবেদন করা উচিত। দেবী দুর্গা নব দুর্গার রূপে মা শীতলার রূপ। এই কারণে আচার-অনুষ্ঠান ও ভক্তি ভরে উপবাস রেখে তাঁদের পুজো করতে হবে।
সারা দিনের উপবাস:
পুরোহিত জানিয়েছেন যে, কালাষ্টমী উদযাপনের সময় সারা দিন উপবাস করা উচিত। সকাল-সন্ধ্যা মাতা শীতলার উদ্দেশ্যে পুজো নিবেদন করা উচিত। সারা দিন উপবাস রেখে ঈশ্বরের ভজন-কীর্তন করতে হবে। রাতে মাতার জাগরণ উৎসব উদযাপন করা উচিত।