তিনি বলেন, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধনা করা হয়। কিন্তু এই নবমী তিথিতে সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর পুজো হয়। ফলে জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য প্রয়োজন পড়ে নানা রকম উপাচারের। ষোড়শ উপাচারে দেবীর পুজো হয়। নবমীর দিন সকাল থেকে পুজো শুরু হলে সেই পুজো শেষ হতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়। ফলে বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো করানো খুব সহজ নয়।
advertisement
পুরোহিত ধীমান বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, শক্তিমতে দেবীর জগদ্ধাত্রীর পুজো হয়। ফলে এই পুজোয় বলিদানের নিয়ম রয়েছে। তবে ছাগ বলির বদলে আঁখ বা চাল কুমড়ো বলিও করা হয়। দুর্গাপুজোর মতো একইভাবে দেবী জগদ্ধাত্রীর পুজো হয়। কিন্তু এখানে নবপত্রিকা আনার নিয়ম নেই। তবে অনেক জায়গাতেই নবমী তিথিতে কুমারী পুজোর নিয়ম রয়েছে। তাছাড়াও পুজোর শেষে হয় যজ্ঞ।
আরও পড়ুনঃ ২৫২ বছরে পা, কৃষ্ণনগরের বুড়িমার পুজোর ষষ্ঠী-দশমীর পুজো-অঞ্জলি কবে, কখন? রইল সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট
দেবী জগদ্ধাত্রীকে একই দিনে তিনবার ভোগ দেওয়া হয়, তিনবার হয় আরতিও। তাই বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো করানো বেশ খরচ সাপেক্ষেও। তবে বহু জায়গাতেই পারিবারিকভাবে জগদ্ধাত্রী পুজো করা হয়। বিভিন্ন বর্ধিষ্ণু বা একান্নবর্তী পরিবারগুলিতেও এই পুজোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু যারা নতুন ভাবে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করতে চান, তাদের এই সমস্ত নিয়মগুলি মানতে হবে।
আর এত কিছু নিয়ম বা উপাচার করা যাদের সম্ভব হবে না, তারা এই সময় দেবী দুর্গার আরাধনা করতে পারেন। নবরাত্রি ছাড়াও জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়টিও দেবী মহামায়ার আরাধনার জন্য উৎকৃষ্ট বলেই তিনি জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে বাড়িতে শুদ্ধ বস্ত্রে দেবীকে লাল ফুল, সাধ্যমত ফল-মিষ্টি, প্রদীপ, ধুপ জ্বালিয়ে দিয়ে ভক্তিভরে তার পুজো করা যায়। এতেও দেবীর আশীর্বাদ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন এই বিশিষ্ট পুরোহিত।
নয়ন ঘোষ





