আসলে পবনপুত্র হনুমানজিই কলিযুগের একমাত্র দেবতা, যাঁকে ভক্তরা খুব সহজেই তুষ্ট করতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, বজরঙ্গবলীকে শক্তি, জ্ঞান এবং করুণা দানকারী বলে গণ্য করা হয়। এমনকী ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, সুন্দরকাণ্ড পাঠ করলে ভক্তের মধ্যে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। এখানেই শেষ নয়, ভক্তরা যদি প্রতিদিন সুন্দরকাণ্ড পাঠ করেন, তাহলে তাঁদের একাগ্রতা ও আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পায়। আর নেতিবাচক শক্তিও দূর হয়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে প্রতিদিন সুন্দরকাণ্ড পাঠের মাহাত্ম্য কত গভীর।
advertisement
আরও পড়ুন: হনুমান জয়ন্তীতে সিদ্ধি যোগ! প্রভাব পড়বে এই সব রাশির জীবনে, কী হতে পারে জানেন!
আরও পড়ুন: হনুমান জয়ন্তীতে পুণ্য লাভের জন্য পুজোর সঙ্গে এই কাজগুলিও করুন
সপ্তাহের কোন দিনে সুন্দরকাণ্ড পাঠ শুরু করা উচিত?
জ্যোতিষাচার্য পণ্ডিত কল্কি রামের বক্তব্য, পবনপুত্র বজরঙ্গবলীকে প্রসন্ন করার জন্য তুলসীদাস দ্বারা রচিত সুন্দরকাণ্ড পাঠ করা উচিত। এই পাঠের জন্য জীবনে আসা সমস্ত বাধা-বিঘ্ন দূর হবে।
এখানেই শেষ নয়, নিয়মিত সুন্দরকাণ্ড পাঠ করলে ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তিও দূর হয়ে যায় এবং ঘরে ইতিবাচক শক্তির বাতাবরণ বজায় থাকে। আর নিজের জীবনে বিশেষ ফল পাওয়ার জন্য সুন্দরকাণ্ড পাঠ করতে চাইলে তা মঙ্গল অথবা শনিবার শুরু করা উচিত। কারণ পবনপুত্র হনুমানজির কাছে শনিবার এবং মঙ্গলবারের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। তবে সুন্দরকাণ্ড পাঠ করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হবে। সুন্দরকাণ্ড পাঠের আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া বাঞ্ছনীয়। পুজোর জায়গায় হনুমানজির মূর্তি রাখতে হবে। এর পর তাঁর উদ্দেশ্যে ফল, ফুল, মিষ্টি এবং সিঁদুর নিবেদন করতে হবে। আর সম্পূর্ণ বিধি-আচার মেনে হনুমানজির আরাধনা করতে হবে। তবে সুন্দরকাণ্ড পাঠ শুরু করার আগে ভগবান গণেশজির পুজো করা উচিত।