আলোর উৎসব উদযাপন করতে ভারতীয়রা মেতে ওঠেন আনন্দে। মনে করা হয় এই দিন দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে সুখ ও সম্পদ লাভ করা যায়। প্রদীপ জ্বালিয়ে তাই চারদিক আলোকিত করে ফেলা হয়। সঙ্গে থাকে আতসবাজি। সারা বছরের বৈষম্য ভুলে একে অপরের মুখে তুলে দেন মিষ্টি। নতুন পোশাক পরে সকলের মেতে ওঠেন আনন্দে।
advertisement
হিন্দু পুরাণ অনুসারে এই বিশেষ দিনেই লঙ্কা বিজয় সেরে অযোধ্যায় ফিরেছিলেন রাম, লক্ষ্মণ ও সীতাদেবী। তাই বিশেষ উৎসব পালিত হয় উত্তর ভারতে।
আরও পড়ুন: ভাল করে দেখুন তো, আপনার পা বেঁকে যায়নি তো? ইউরিক অ্যাসিড হাড় খেয়ে নেয়! জানুন
চলতি বছর ১২ নভেম্বর দীপাবলি পালিত হবে। ভারতীয় বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, দীপ প্রজ্জ্বলনেরও কিছু নিয়ম রয়েছে। মনে রাখতে হবে, একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দীপাবলির সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা প্রয়োজন। না হলে অকল্যাণ হতে পারে।
বিখ্যাত জ্যোতিষী এবং বাস্তু পরামর্শদাতা পণ্ডিত হিতেন্দ্রকুমার শর্মা জানান, বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, দীপাবলির সন্ধ্যায় কোনও ভাবেই দক্ষিণ দিকে প্রদীপ জ্বালানো উচিত নয়। তবে বছরের অন্যদিন তা জ্বালানো যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সোনু নিগমও কিন্তু বাংলার জামাই, গায়কের অপরূপা বাঙালি বউ মধুরিমাকে চেনেন?
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী দক্ষিণ দিক হল মৃত্যুর দেবতার যমরাজের দিক। দীপাবলি অর্থাৎ অমাবস্যার আগে চতুর্দশীর রাতে যমরাজের পুজো করার প্রথা বহুকাল ধরেই চলে আসছে। বাংলায় একে ভূত চতুর্দশী বলা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে যমরাজ পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং একজন ব্যক্তির মৃত্যুর সময় নির্ধারণ করেন। তাই দীপাবলির দুই দিন দক্ষিণ দিকে প্রদীপ জ্বালানো উচিত নয়।
লোকবিশ্বাস অনুসারে, দক্ষিণ দিকে প্রদীপ জ্বালানোর অর্থই হল, মৃত্যুর দেবতাকে নিজের বাড়ির পথ দেখানো। তবে একই সঙ্গে স্বয়ং যমরাজের জন্যও প্রদীপ জ্বালানো হয়, অকালমৃত্যু থেকে বাঁচার প্রার্থনা করা হয়। এই প্রদীপ জ্বালাতে চাইলে তা রাখতে হবে ঠাকুরঘরের সামনে বা যে কোনও মোড়ে। অশ্বত্থ গাছের নিচেও এই প্রদীপ রাখা যেতে পারে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)