প্রাথমিক ভাবে অবিশ্বাস্য মনে হতেই পারে। কিন্তু ভক্তের কষ্ট তো কষ্টই, সে অন্য কোনও কারণেই হোক বা সম্পর্কজনিত কারণে হোক। ফলে, তা দূর করার জন্যও দৈবীকৃপা অপ্রতুল নয়। সঙ্গত কারণেই এই চৈত্র নবরাত্রিতে ভক্তের ঢল নেমেছে লখনউয়ের বন্দী মাতা মন্দিরে। লখনউয়ের চারধাম মন্দিরের ঠিক পিছনেই অবস্থিত এই মন্দির এখন উঠে এসেছে নতুন করে সংবাদের শিরোনামে।
advertisement
মন্দিরের বর্তমান ম্যানেজার সুশীলা বাজপেয়ীর কাছে জানা গিয়েছে বন্দী মাতার অলৌকিক কৃপার কাহিনী। যদিও এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা ঠিক কবে, তা তিনি স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। কেবল জানিয়েছেন যে তাঁর পূর্বজ বন্দী দান বাজপেয়ী মাতার মূর্তি নিয়ে এসেছিলেন এখানে, তিনিই এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা। কিন্তু কোথা থেকে মাতার এই অলৌকিক বিগ্রহ নিয়ে আসা হয়, তার সন্ধান তিনি দিতে পারেননি। অবশ্য এটুকু বলতে ভোলেননি যে বন্দী মাতা বাজপেয়ীদের কুলদেবী, অতএব তাঁর আরাধনার পরম্পরা ঐতিহ্যবাহিত।
আরও পড়ুন- ভারত যেন ‘ডায়াবেটিসের রাজধানী’! সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে অপরিহার্য এই তিন ভেষজের পাতা
সুশীলা আরও জানিয়েছেন যে কাতরা রানি নামে প্রসিদ্ধ এই মন্দিরে ভক্তদের সম্পর্কজনিত সব সমস্যার হাত থেকে মুক্তি মেলে। উত্তরদিকে স্থিতা বন্দী মাতার কাছে পূজা দিয়ে নিজের মনোবাসনা ব্যক্ত করতে হয়। তা পূর্ণ হলে মাতাকে নূপুর এবং সধবার উপযোগী প্রসাধনী দান করে তুষ্ট করতে হয়। বছরের পর বছর ধরে এই নিয়মেই পূজার্চনা চলছে বন্দী মাতার, ভক্তের সম্পর্কজনিত কষ্টের ভার লাঘব করছেন তিনি।
Reporter: Anjali Singh Rajpoot