হিন্দুধর্মে দেব-দেবীর পূজাবিধি ভেদে দানভেদও রয়েছে। অযোধ্যার প্রখ্যাত জ্যোতিষী কল্কি রাম এই প্রসঙ্গে আমাদের জানাচ্ছেন যে নবরাত্রির সময়ে দেবী আদ্যাশক্তি স্বয়ং মর্ত্যে বাস করেন। তাই নবরাত্রির নিশালগ্নে কুমারী কন্যাদের লাল বস্ত্র, লাল চুড়ি, বই, ফল দান করলে অতীব প্রীত হন দেবী। বিনিময়ে ভক্ত পান মনোবাঞ্ছিত বর। দেখে নেওয়া যাক নবরাত্রিতে দানের প্রসঙ্গে কী বলছেন পণ্ডিত রাম। এই পুণ্যতিথিতে কোন দানে কী লাভ, জেনে নেওয়া যাক একে একে।
বই- চৈত্র নবরাত্রিতে কুমারী কন্যাদের বই দান করা অবশ্য কর্তব্য। ভুলে গেলে চলবে না দুর্গাপূজায় শক্তিদেবীর সঙ্গে বিদ্যাদাত্রী দেবী সরস্বতী এবং ধনদাত্রী দেবী লক্ষ্মীর অধিষ্ঠানের কথা। বই দান করলে প্রসন্ন হবেন দেবী সরস্বতী- জ্ঞানের আলো দাতা এবং গ্রহীতা উভয়ের জীবনকে পূর্ণ করবে, সেই সূত্রেই নিষ্কণ্টক হবে লক্ষ্মীলাভের পথও। তাছাড়া বলা হয় যে এই পুণ্যতিথিতে বই দান করলে দেবীর কৃপায় জীবনে আর কোনও দুঃখ থাকে না।
এলাচ- বড় সামান্য জিনিস, কিন্তু মহিমা অপরিসীম! অনেক সময়ে আমরা যথোচিত অর্চনারও ফললাভ করি না, জীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন থেকেই যায়। এমন হলে পণ্ডিত রামের পরামর্শ- নবরাত্রিত নয় তিথিতে একটি ছোট এলাচ একটি সবুজ কাপড়ে মুড়ে দেবীকে ভক্তিভরে দান করলেই সব সমস্যা দূর হবে। এতে অর্থভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে, আসবে নতুন চাকরির খবরও।