ব্যাপারটা অনেকটা রাশি মিলিয়ে জোটক খোঁজার মতোই। তফাতের মধ্যে এখানে কাজ করবে জন্মতারিখ। দেখে নেওয়া যাক, সংখ্যাতত্ত্ব মতে যাঁদের সংখ্যা ৪, তাঁদের জন্য কোন সংখ্যা সঙ্গী/সঙ্গিনী রূপে আদর্শ হতে পারে বা পারে না।
আরও পড়ুন: ট্রেনের কামরার পিছনে কেন X চিহ্ন থাকে? জেনে নিন এই অজানা তথ্য
এই জায়গায় এসে একটা কথা বলে রাখা উচিত। জন্মতারিখ অনুযায়ী হিসেব-নিকেশ করে সংখ্যাতত্ত্বের ক্ষেত্রে ভাগ্যগণনা করা হয়ে থাকে। যেমন ধরে নেওয়া যাক, কারও জন্মতারিখ ১১। এক্ষেত্রে তাঁর জন্মগত সংখ্যা হবে ১+১= ২। ফলে তাঁকে সংখ্যাতত্ত্বের #২-এর গণনা দেখতে হবে। অর্থাৎ নিজের জন্মতারিখের যোগফল হিসেব করে সংখ্যাতত্ত্বের গণনা করা হয়।
advertisement
এই হিসেবে সংখ্যা ৪ রূপে গণ্য হবেন কারা? যাঁদের জন্ম ৪, ১৩, ২২ এবং ৩১ তারিখে। এই সংখ্যার অধিপতি গ্রহ রাহু। আর একারণেই সংখ্যা ১-এর জাতক-জাতিকারা, যাঁদের জন্ম ১, ১০, ১৯ এবং ২৮ তারিখে, তাঁরা সংখ্যা ৪-এর পক্ষে খুব একটা উপযুক্ত নয়। কেন?
আরও পড়ুন: নারী দিবসের বাম্পার ধামাকা! কলকাতায় সোনার দামে ধস, প্রতি গ্রামে আরও সস্তা
কারণ, সংখ্যা ১–এর অধিপতি সূর্য, সেই জন্যেই-
- ৪ সংখ্যার অধিপতি রাহু অনেক দূরবর্তী গ্রহ। এঁদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে ওঠার সম্ভাবনা কম।
- তাছাড়া, ১ এবং ৪ উভয়েই নিজেদের মৌলিকতা বজায় রাখতে চায়। ফলে ব্যক্তিত্বের সংঘাত অবশ্যম্ভাবী।
- সংখ্যা ১ ও ৪ প্রায় কখনই কোনও যৌথ সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারে না। ফলে পেশাগত ক্ষেত্রে এমন অংশীদারিত্ব না হওয়াই কাম্য।
- দাম্পত্যের ক্ষেত্রেও পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমর্থনের অভাব তৈরি হয় এই দুই সংখ্যার মধ্য।
- এই দুই সংখ্যার মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপিত হলে দম্পতিকে অবশ্যই নিজেদের সম্পত্তি ও পার্থিব স্বাচ্ছন্দের বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে।
- তবে রাজনৈতিক নেতৃ্ত্বের ক্ষেত্রে এই সংমিশ্রণ শুভ প্রমাণিত হতে পারে।
শুভ রং: হলুদ ও ধূসর
দান: দয়া করে আশ্রমে তেল দান করুন
আবার, সংখ্যা ২, যাঁদের জন্ম ২, ১১, ২০ এবং ২৯ তারিখে, তাঁরাও সংখ্যা ৪-এর পক্ষে তেমন ভাল সঙ্গী হয়ে না উঠতে পারে না, কারণ-
- ৪ ও ২-এর মধ্যে সৌহার্দ্য পূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা খুব কঠিন ব্যাপার।
- ৪ সংখ্যার জাতক জাতিকারা সব সময় বাস্তববাদী ভাবনা চিন্তায় বিশ্বাসী হন। ছক কষে এগোতে পছন্দ করেন। কিন্তু ২ সংখ্যার জাতক জাতিকারা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে থাকেন। তাঁরা হৃদয়ের কথাই বেশি শোনেন।
- ফলে ব্যক্তিগত হোক বা পেশাগত মানসিকতার পার্থক্য এই দুই সংখ্যার মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি করে রাখে।
- তবে এঁদের বুদ্ধিমত্তায় একটা মিল থাকে। তার জোরেই বিবাহিত দম্পতিরা খানিকটা ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পারে। সেখান থেকে সুখী হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
- এই দুই সংখ্যার জাতক জাতিকারই ভগবান শিবের পূজা করা প্রয়োজন।
- অনাথাশ্রমে দুধ দানও করা যেতে পারে।
- ওষুধ শিল্প, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত, তরল, শিক্ষা, গহনা এবং জলের ব্যবসায় লাভ হতে পারে।
শুভ রং: অফ হোয়াইট
দান : দয়া করে আশ্রমে সাদা চাল দান করুন