কালচিনি ব্লকের নিউ গোরে লাইন এলাকায় বাস জনা ২৫ পরিবারের। সবমিলিয়ে ৬০ জন থাকেন। শৌচালয়ের অভাবে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে চাই ছুটতে হয় চা-বাগানে। মহিলারাও লজ্জা বিসর্জন দিয়ে খোলা মাঠেই কাজ সাড়তে বাধ্য হন। 'নির্মল গ্রাম' প্রকল্পের অধীনে বাড়িতে শৌচালয় তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে সেই প্রতিশ্রুতি প্রতিশ্রুতি হয়েই থেকে গিয়েছে। অভিযোগ, তৈরি হয়নি একটিও শৌচালয়।
advertisement
এলাকার প্রত্যেকেই চা বাগানের শ্রমিক। থাকার ঘর ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। নিজের পয়সায় শৌচালয় তৈরির সামর্থ্য নেই কারোর। চার বছর আগে প্রশাসনের তরফে সার্ভে করা হয়েছিল। সেই সময় বলা হয়েছিল তাদের শৌচালয়ের সমস্যা মিটবে। কিন্তু সমস্যা সমাধান হয়নি। এদিকে মহিলারা খোলা চা বাগানে শৌচকর্মে বসলেই আশেপাশের এলাকার কিছু অসাধু মানুষ আজকাল উঁকিঝুঁকি মারে। এ এক নতুন উৎপাত। ফলে প্রবল সঙ্কটে ভুগছেন নিউ গোরে লাইনের মানুষজন।
আরও পড়ুন: আদিবাসীদের বিক্ষোভ, সকাল থেকে জেলায় জেলায় জাতীয় সড়কে অবরোধ! নাজেহাল সাধারণ মানুষ
রাতেও শৌচকর্ম করতে যেতে হয় খোলা মাঠে। তাতে বন্য পশুর আক্রমণের ভয় থাকে। এলাকার এক মহিলা জানান, সম্প্রতি এইভাবে শৌচকর্ম করার সময় তাঁর দিকে একটি ভাল্লুক ধেয়ে এসেছিল। সেদিন কোনওরকমে প্রাণ হাতে করে পালিয়ে বাঁচেন।
শৌচালয় সমস্যার সমাধান কবে হবে? উত্তর নেই নিউ গোরে লাইন এলাকার বাসিন্দাদের কাছে। আর কতদিন লোটা হাতে চা বাগানে দৌড়তে হবে? এর উত্তরও নেই। এই অবস্থায় বাসিন্দারা দ্রুত এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চান।
অনন্যা দে