দুই পারের গ্রামবাসীরা রোজ পারাপার হচ্ছেন। গত বিধানসভা ভোটের মুখে, প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম টাকা বরাদ্দ করে ব্রীজের শিলান্যাস করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক ডঃ সৌরভ চক্রবর্তী। কিন্তু দু দুবার টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করেও হয়নি কাজ। বর্তমানে জরাজীর্ণ ওই বাঁশের সাঁকো দিয়েই গ্রামবাসী থেকে স্কুল পড়ুয়া সকলেই প্রতিদিন পারাপার করছে চেল নদীর উপর দিয়েই। পাতলাখাওয়ার দেওডাঙা এলাকায় চেল নদীর ওপর পাকা সেতু কবে তৈরি হবে? প্রশ্ন এলাকাবাসীদের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শামুকতলায় চোলাই মদ-সহ গ্রেফতার আট
বৃষ্টি হলেই চেলনদীর জল বেড়ে যায়। তখন বাঁশের সাঁকোটি ভেসে যায় জলের তোড়ে। এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। ভোটের আগে পাকা সেতু তৈরির বিষয়ে জানা গেলেও তারপর আর ব্রীজ তৈরি হয়নি। আশ্বাস মিলছে তৈরি হবে ব্রীজ। এদিকে সমস্যায় হাজারের ওপরে মানুষ। বাঁশের ভাঙাচোরা ব্রীজ দিয়ে যেমন পায়ে হেঁটে মানুষ পার হচ্ছে।তেমনই বাইক নিয়েও পার হচ্ছে চালকরা। স্থানীয়দের মতে,এছাড়া আর কোনও উপায় নেই। পারাপার তো করতেই হবে।তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ কালচিনিতে অভিযান চালিয়ে আটক দুটি বালি বোঝাই ট্রাক
এদিকে বাঁশের সেতুটিও ভেঙে পড়েছে বিভিন্ন স্থানে।আতঙ্ক বাড়ছে এলাকাবাসীদের। এই সেতু দিয়ে স্কুলের সময়ে পারাপার হয় পড়ুয়ারা। তাদের চোখেমুখে লক্ষ্য করা যায় আতঙ্ক। জানা যায়,মাঝে এই সেতু পারাপারের সময় এক পড়ুয়া নদীতে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছিল। এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ক্ষিপ্ত এলাকাবাসীরা সোজা জানিয়ে দিয়েছেন তারা ভোট দেবেন না। পাকা ব্রীজের দাবি না মিটলে অবরোধ হবে।
Annanya Dey