শিলিগুড়িতে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের সরকারি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি আলিপুরদুয়ারের চা শ্রমিকদের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেন। মাদারিহাটের দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ দুটি চা বাগান ঢেকলাপাড়া ও লঙ্কাপাড়া। এই দুই বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। শ্রমিক পরিবার প্রতি পাঁচ ডেসিমেল জমির পাট্টা প্রদান করা হয়েছে। তাতে ঢেকলাপাড়া চা বাগানের ৪১৬ জন ও লঙ্কাপাড়ার ৯৮৩ জন চা শ্রমিক জমির পাট্টা পান।
advertisement
আরও পড়ুন: সবে শীত বিদায় নিচ্ছে, এর মধ্যেই জল জমার আতঙ্ক সাঁকরাইলে
মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ি থেকে ভার্চুয়ালি জমির পাট্টা তুলে দেওয়ার পর মাদারিহাটে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ওই শ্রমিকদের হাতে জমি সংক্রান্ত কাগজ তুলে দেওয়া হয়। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। স্বাধীনতার এত বছর পর জমির অধিকার পেয়ে খুশির জোয়ারে ভাসছেন চা শ্রমিকরা।এর ফলে এখন থেকে চা শ্রমিকরা বিভিন্ন ধরনের সরকারি প্রকল্পের আওতায় এসে সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
বাম আমলের শেষ দিকে উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলিকে পঞ্চায়েতের আওতায় আনা হলেও নিজস্ব জমি না থাকার দরুন অনেক সরকারি প্রকল্পের সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন চা শ্রমিকরা।যেমন আবাস ষোজনা, হাতিতে ঘর ভাঙলে তার ক্ষতিপূরণ প্রভৃতি বিষয়গুলি কিছুই পেতেন না তাঁরা। এখন জমির উপর নিজস্ব অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সেই সমস্যা অনেকটাই দূর হল।
এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা বলেন, 'জমির অধিকার মেলায় এখন থেকে চা শ্রমিকরা আবাস যোজনার আওতায় আসতে পারবেন।' তবে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চা মালিক সংগঠনগুলি। তাঁদের আশঙ্কা জমির অধিকার মেলায় চা বাগানগুলিতে শ্রমিক-মালিক সংঘাতের রাস্তা তৈরি হল। কারণ, ১৯৬১ সালের চা শ্রমিক আইন অনুসারে এতদিন ধরে চা শ্রমিকদের আবাসগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল চা বাগান মলিকদের উপর। মালিক সংগঠনগুলির যুক্তি, যেহেতু তাঁদের জমির লিজ বাতিল করে দিয়ে শ্রমিকদের জমির অধিকার দিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফলে শ্রমিকদের দেখভালের পুরো দায়টাই রাজ্য সরকারকে নিতে হবে।
অনন্যা দে