TRENDING:

Alipurduar News: এই প্রথম জমির পাট্টা পেল চা শ্রমিকরা, রাজ্যের 'কাজে' খুশি নয় বাগান মালিকরা

Last Updated:

এই প্রথম জমির উপর অধিকার পেলেন উত্তরবঙ্গের হতদরিদ্র চা শ্রমিকরা। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর শিলিগুড়ি থেকে ভার্চুয়ালি তাঁদের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেন। তবে রাজ্যের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাগান মালিকদের সংগঠনগুলি

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আলিপুরদুয়ার: এক নতুন অধ‍্যায়ের সূচনা হল চা মহল্লায়। এই প্রথম চা শ্রমিকদের জমির অধিকার বুঝিয়ে দিতে শুরু করল রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগকে 'মাস্টার স্ট্রোক' বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে খুশি নন চা বাগানের মালিকরা।
advertisement

শিলিগুড়িতে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের সরকারি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি আলিপুরদুয়ারের চা শ্রমিকদের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেন। মাদারিহাটের দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ দুটি চা বাগান ঢেকলাপাড়া ও লঙ্কাপাড়া। এই দুই বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। শ্রমিক পরিবার প্রতি পাঁচ ডেসিমেল জমির পাট্টা প্রদান করা হয়েছে। তাতে ঢেকলাপাড়া চা বাগানের ৪১৬ জন ও লঙ্কাপাড়ার ৯৮৩ জন চা শ্রমিক জমির পাট্টা পান।

advertisement

আরও পড়ুন: সবে শীত বিদায় নিচ্ছে, এর মধ্যেই জল জমার আতঙ্ক সাঁকরাইলে

মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ি থেকে ভার্চুয়ালি জমির পাট্টা তুলে দেওয়ার পর মাদারিহাটে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ওই শ্রমিকদের হাতে জমি সংক্রান্ত কাগজ তুলে দেওয়া হয়। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। স্বাধীনতার এত বছর পর জমির অধিকার পেয়ে খুশির জোয়ারে ভাসছেন চা শ্রমিকরা।এর ফলে এখন থেকে চা শ্রমিকরা বিভিন্ন ধরনের সরকারি প্রকল্পের আওতায় এসে সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

advertisement

বাম আমলের শেষ দিকে উত্তরবঙ্গের চা বাগানগুলিকে পঞ্চায়েতের আওতায় আনা হলেও নিজস্ব জমি না থাকার দরুন অনেক সরকারি প্রকল্পের সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন চা শ্রমিকরা।যেমন আবাস ষোজনা, হাতিতে ঘর ভাঙলে তার ক্ষতিপূরণ প্রভৃতি বিষয়গুলি কিছুই পেতেন না তাঁরা। এখন জমির উপর নিজস্ব অধিকার প্রতিষ্ঠিত হ‌ওয়ায় সেই সমস্যা অনেকটাই দূর হল।

advertisement

এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা বলেন, 'জমির অধিকার মেলায় এখন থেকে চা শ্রমিকরা আবাস যোজনার আওতায় আসতে পারবেন।' তবে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চা মালিক সংগঠনগুলি। তাঁদের আশঙ্কা জমির অধিকার মেলায় চা বাগানগুলিতে শ্রমিক-মালিক সংঘাতের রাস্তা তৈরি হল। কারণ, ১৯৬১ সালের চা শ্রমিক আইন অনুসারে এতদিন ধরে চা শ্রমিকদের আবাসগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল চা বাগান মলিকদের উপর। মালিক সংগঠনগুলির যুক্তি, যেহেতু তাঁদের জমির লিজ বাতিল করে দিয়ে শ্রমিকদের জমির অধিকার দিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফলে শ্রমিকদের দেখভালের পুরো দায়টাই রাজ্য সরকারকে নিতে হবে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ভাইফোঁটায় আপনিও বানাতে পারেন বহু প্রাচীন 'মন্থল' মিষ্টি, রইল রেসিপি
আরও দেখুন

অনন্যা দে

বাংলা খবর/ খবর/আলিপুরদুয়ার/
Alipurduar News: এই প্রথম জমির পাট্টা পেল চা শ্রমিকরা, রাজ্যের 'কাজে' খুশি নয় বাগান মালিকরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল