হ্যামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জের অন্তর্গত কালচিনি, খোকলাবস্তি, দলসিংপাড়া এলাকায় রোজ রাতে হাতির দল প্রবেশ করছে। গ্রামবাসীদের ঘর ভেঙে ফেলার পাশাপাশি তাদের হানায় প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই হাতির হানায় কয়েকদিনের মধ্যে ৬ জনের প্রাণ গিয়েছে। তবে হাতিরা দলবদ্ধভাবে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে, নাকি কোনও একটি বিশেষ হাতি ক্ষেপে গিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে তা নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলেনি বন দফতর।
advertisement
আরও পড়ুন: আগুন নেভাতে অটোয় চড়ে হাজির হলেন দমকল কর্মীরা! গাড়ির পাশাপাশি ছিল না কোনও সরঞ্জাম
ইতিমধ্যেই হ্যামিলটনগঞ্জ রেঞ্জের অন্তর্গত এলাকাগুলিতে বনকর্মীরা নিয়মিত টহলদারি শুরু করেছে। পাশাপাশি মাইকিং করে সাধারণ মানুষদের সতর্কও করে দিচ্ছে। গত দশ দিনে হ্যামিল্টনগঞ্জ রেঞ্জের অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতির হানায় দুটি মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। একজন মহিলা গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনজনের ক্ষেত্রেই দাঁতাল তার বড় দাঁত দিয়ে মানুষের শরীরে আঘাত করেছে। সবকটি ঘটনাই ভোররাত ও সকালে ঘটেছে।
হ্যামিল্টনগঞ্জে রেঞ্জার অঙ্কন নন্দী বলেন, "ভোর ও সকালে কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারপাশ। সেই সময় বাইরে বের হলে টর্চ নিয়ে বেরতে হবে। বন্যপ্রাণী, বিশেষ করে হাতিরা কোথায় লুকিয়ে থাকে তা বোঝা যায় না। টর্চের আলো ফেললে তাও বোঝা যায় কিছু আছে কি না। বনকর্মীরা ডিউটিতে থাকছে। তবে চিন্তার কারণ নেই। সতর্ক থাকলে বিপদ এড়ানো যাবে।"
অনন্যা দে