মুখ্যমন্ত্রীর সভা থেকে ফিরেই তোর্ষা চা-বাগানের ম্যানেজার বাংলোর সামনে তৈরি হওয়া চা সুন্দরী আবাসনের সামনে চলে আসেন ঘর পাওয়া শ্রমিকরা। মহানন্দে চাবি দিয়ে তালা খোলেন তাঁরা। এতদিনে পাকা ঘরে পা রেখে আত্মহারা হয়ে যান। জীবনে সুন্দর বাড়ি পাবেন তা তাঁরা কোনদিন কল্পনাও করতে পারেননি। শ্রমিকরা জানান, বাকি জীবনে আজকের দিনটা ভুলবেন না।
advertisement
আরও পড়ুন: ১০ জনকে 'দত্তক' নিল বেসরকারি হাসপাতাল! কারণ জানলে আপনিও খুশি হবেন
চা বাগানের শ্রমিকদের জীবন গোটাটাই দুঃখ-কষ্টের। সেখানে মাথার উপর পাকা ঘর থাকবে তা কল্পনা করাও কঠিন। উল্লেখ্য এই তোর্ষা চা বাগানের দুটি স্থানে চা সুন্দরী প্রকল্পের ঘর নির্মানের কাজ হয়েছে।এই প্রকল্পের অন্তর্গত তৈরি হওয়া আবাসনগুলির প্রত্যেকটিতে দুটি ঘর, একটি রান্নাঘর, শৌচাগার এবং বারান্দা আছে। এক একটি আবাসন তৈরিতে সরকারের প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর।
তোর্ষা চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোর সামনে এবং বাগানের মাঝ দিয়ে যাওয়া জয়গাঁগামী রাস্তায় তৈরি হয়েছে চা সুন্দরী প্রকল্পের ঘর। মোট ৪৭৬ টি ঘর তৈরি হয়েছে। একদিকে আছে ২৫৬ টি ঘর। অন্যদিকে ২২০ টি ঘর। চা বাগানের মাঝে নীল রঙের ঘরগুলি চা সুন্দরীর অস্তিত্বের বিষয়টি জানান দিচ্ছে। খুশি চা-শ্রমিকরা জানান,"এত সুবিধা তাঁরা পাবেন ভাবতেই পারেননি। কী নেই এই আবাসনে! খেলার মাঠ আছে। পানীয় জলের ব্যবস্থা আছে। পাকা রাস্তা আছে। বাড়ির ছেলেমেয়েদের খেলতে আর করতে ২-৩ কিলোমিটার দূরে যেতে হবে না।" চা-শ্রমিকদের জন্য ফ্রি ইলেকট্রিসিটির ব্যবস্থা করা হয়েছে এই আবাসনগুলিতে। ফলে চা সুন্দরী প্রকল্পে বিনামূল্যে ঘর পাওয়া শ্রমিকদের আরও সুবিধে হয়েছে।
অনন্যা দে