এছাড়াও বাকি চা বাগান গুলিতে এবার পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। শনিবার রহিমাবাদ এলাকা থেকে গ্রেফতার আটজনকে আলিপুরদুয়ার জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। শামুকতলা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক জানিয়েছেন থানা এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে থানার সাদা পোশাকের পুলিশের দল বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাবে। ডুয়ার্সের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম গুলিতে ঢুঁ মারলে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়বে উঠোনের এক কোনে উনুনে জ্বলছে বড়ো হাঁড়ি এবং তাতে চোলাই তৈরির দৃশ্য।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পাকা সেতুর দাবিতে পথ অবরোধ গ্রামবাসীদের, উঠল ভোট বয়কটের ডাক
এর আগে এপ্রিল মাসে আবগারি দফতরের অভিযান চলে কুমারগ্রাম ব্লকে। আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের হাতিপোঁতা, কাঞ্জালিবস্তি, খরবন্দিলাইন, সুব্বা লাইন এবং আলিপুরদুয়ার-২ নম্বর ব্লকের নুরপুর এলাকায় চলছে চোলাইয়ের কারবার। জঙ্গল লাগোয়া এই প্রত্যন্ত গ্রাম গুলোতে লোক চক্ষুর আড়ালে নির্বিঘ্নে চলে চোলাইয়ের চোরা করবার। সেই কারবার রুখতে এবার ময়দানে নামেন আবগারি বিভাগের কর্মীরা। আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের গ্রামে গ্রামে একাধিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ চোলাই মদ ও চোলাই তৈরির উপকরণ নষ্ট করেছিলেন আবগারি বিভাগ।
চোলাই তৈরির উপকরণ হিসেবে আগে নিম্নমানের চাল দিয়ে ভাত তৈরি করে নেওয়া হয়। তারপর তাতে বাখড় নামক এক ধরনের দ্রব্য মিশিয়ে দেওয়া হয়। এই বাখড় হল এক ধরনের মিষ্টি যা মূলত চোলাইয়ে ইস্ট-এর কাজ করে। যা চটজলদি ভাত পচাতে সাহায্য করে। এরপর ভাত পচে গেলে একটি বড় হাঁড়িতে বসিয়ে তা ফের ফোটানো হয় উনুনে।চোলাই মদ মূলত ইথাইল অ্যালকোহল। জানা গিয়েছে,মদের আকর্ষণ বাড়াতে ইথাইল অ্যালকোহলের সঙ্গে অনেক রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে আজকাল।
আরও পড়ুনঃ কালচিনিতে অভিযান চালিয়ে আটক দুটি বালি বোঝাই ট্রাক
তাতে চোলাই খাওয়ার পর অল্প সময়েই নেশায় বুঁদ হয়ে যাওয়া যাচ্ছে। নেশার বহর বা়ড়তেই বেড়ে চলেছে খদ্দের সংখ্যাও। বিষাক্ত এই মদের জেরে শরীরে থাবা বসাচ্ছে নানা ধরনের মারণ রোগ। চোলাই মদের কারবার রুখতে এদিন চোলাই ও চোলাই তৈরির উপকরণ আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করে দেন আবগারি কর্মীরা। আবগারি বিভাগ সূত্রে জানা যায়,অভিযানে প্রায় ১২০০ লিটার চোলাই তৈরির উপকরণ ও ৫০ লিটার চোলাই নষ্ট করা হয়। অবৈধ মদের বিরুদ্ধে এই অভিযান লাগাতার চলবে বলে জানা গিয়েছিল।
Annanya Dey