আর এই সমস্ত পুণ্যার্থীদের ধামে যেতে পড়তে হয় বিরাট সমস্যার মুখে। কারণ স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি থাকলেও আজও এই নদীর ওপর গড়ে ওঠেনি কোন পাকা সেতু। বছরে একবার এই ধামের মেলার সময় বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। কিন্তু নদীতে জল বাড়লে তা ভেসে যায় নিমেষেই। তখন ভরসা থার্মোকলের ভেলা। সেই ভেলা দিয়েই স্থানীয় মানুষ ও বহিরাগত পুণ্যার্থীরা প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করেন ধামে। স্থানীয় মানুষেরা জানান, এই স্থানে বেশ কয়েক বছর আগে সেতু না থাকার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন এক পুণ্যার্থী।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ লতাবাড়ি এলাকায় ধানের জমি পরিদর্শন ব্লক কৃষি আধিকারিকের
এবারও মেলার সময় সামনে চলে এসেছে, তৈরি হচ্ছে আবার নতুন করে বাঁশের সাঁকো। কোনও অঘটন যাতে এবার না ঘটে,এটাই চাইছেন গ্রামবাসীরা। এই নদী পারাপার করা খুব একটা সোজা বিষয় নয়। নদীর এপার ও ওপারে দুটি খুঁটি পোতা রয়েছে। তাতে ঝোলানো হয়েছে দড়ি। জলে ভেলা নিয়ে নামলে মাঝিদের দড়ি ধরে ভেলা পার করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ মাছ ধরতে গিয়ে হাতির পায়ের তলায়! প্রাণ হারালেন এক ব্যক্তি
এই পরিস্থিতি দেখে হাসাহাসি করেন বাইরের পুণ্যার্থীরা। তখনই লজ্জায় পড়তে হয় স্থানীয়দের। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অঞ্জলি বিশ্বাস সরকার জানান,প্রতি বছরই আমরা ওখানে সাঁকো তৈরি করি, সেখানে পাকা সেতুর প্রয়োজনীয়তা আমরাও অনুভব করি ,কিন্তু আমাদের পক্ষে করা সম্ভব না, ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ কে আমরা জানাব।
Annanya Dey