কোভিড পরবর্তী সময়ে আগে ভুটানে রাত্রিবাসের জন্য 'সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট ফি'র নামে ভারতীয়দের কাছ থেকে মাথাপিছু ১২০০ টাকা লাগু হওয়ার পর, এখন থেকে পথচারীদেরও আর ছাড় দিতে রাজি নয় ভুটান। এখন থেকে ভুটানের মাটিতে পা রাখতে হলে পথচারীদের মাথাপিছু গুনতে হবে দশ টাকা। নগদে অথবা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ওই পথকর মেটানো যাবে। যার পোষাকি নাম দেওয়া হয়েছে 'ইউজার ফি'।
advertisement
আরও পড়ুনঃ 'অসুখী দাম্পত্য, সন্তানকে পৃথিবীতে আনব কিনা বহুবার ভেবেছি', মেয়ের জন্মদিনে যা লিখলেন বৈশাখী...
দিনে যতবার জয়গাঁও থেকে ফুন্টসোলিং অথবা ফুন্টসোলিং থেকে জয়গাঁয় কেউ যাতায়াত করবেন, ততবারই মাথাপিছু দশ টাকা করে গুনতে হবে।ভুটানের নাগরিকদের জন্যেও ওই নিয়ম বলবৎ থাকবে। ভুটানের ফুন্টসোলিং জেলার অভিবাসন দফতরের পক্ষ থেকে ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চিকিৎসকদের খারাপ হাতের লেখা-বানান ভুলে দেশে বছরে ৭০০০ রোগীর মৃত্যু! গবেষণায় চাঞ্চল্য
প্রতিদিন ভুটান থেকে ভারতে ও ভারত থেকে ভুটানে পর্যটক ছাড়াও হাজার হাজার মানুষ ব্যবসায়ীক কাজে ও দিনমজুরি খাটতে যান ফুন্টসোলিংয়ে। যাঁদের একটা বড় অংশ মুটে-মজদুর। স্বাভাবিক ভাবেই ভুটানের ওই একতরফা পথ কর লাগু করা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বিভিন্ন মহলে। বানিজ্যিক মহলের তরফে পথচারীদের জন্য ওই কর চালু করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। কালচিনি ব্লক চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক রাকেশ পাণ্ডে বলেন 'আপাতদৃষ্টিতে দশ টাকা সামান্য হলেও, দিনভর বহু মানুষকে একাধিক বার এপার-ওপার করতে হয়।পথচারীদের জন্যেও কেন কর চালু করা হ'ল তা বোধগম্য হচ্ছে না।'
ক্ষোভের সুর পর্যটন মহলেও, পর্যটন ব্যবসায়ীদের কথায় 'প্রথমে ভারতীয়দের ভুটানে রাত্রিবাসের জন্য 'এসডিএফ'-এর নামে ১২০০ টাকা, পর্যটকদের ভুটানে নিয়ে যাওয়া গাড়ি প্রতি সাড়ে চার হাজার টাকা কর আরোপ, তারপর পথচারীদের জন্যেও মাথাপিছু দশ টাকা কর লাগু করা, সব কিছুর একটা মাত্রা থাকা উচিত। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অথচ ভুুটানের নাগরিকরা ভারতে বিনামূল্যে ও অবাধে প্রবেশ করতে পারছেন, যত নিয়ম সব কিছুই ভারতীয়দের ক্ষেত্রে একতরফা ভাবে লাগু করছে ভুটান। এটা চলতে পারে না।
Annanya Dey