এরপর জল দেওয়া হয় হাতিটির শরীরে। কিছুক্ষণ পরে হাতিটি নিজে উঠে দাঁড়ায়।যা দেখে মন শান্ত হয় এলাকাবাসীদের।এরপরই হাতিটি এলাকা থেকে জঙ্গলে ফিরে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জীব গুরুং জানান,\"বুনো হাতিটি এলাকায় ক্ষতি করতে এসেছিল। কিন্তু চোখের সামনে একটি প্রাণকে চলে যেতে দেখতে পারতাম না। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার প্রধান বিদ্যুৎ-এর লাইন অফ করেছি। হাতিটিকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করেছি,সফল হয়েছি। মনটা আনন্দে ভরে উঠেছে।\" বুনো হাতি বেরনোর খবর শুনে ঘটনাস্থলে বনদফতরের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত ভার্নোবাড়ি বীটের বনকর্মী ও আধিকারিকরা পৌঁছান।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দু'বছর পর রথযাত্রার আয়োজন আলিপুরদুয়ারের হ্যামিল্টনগঞ্জে
বীট অফিসার প্রদীপ কুমার বর্মণ জানান,\"গ্রামবাসীরা যেভাবে হাতিটির প্রাণ রক্ষা করেছে।তা প্রশংসনীয় কাজ।হাতিটি এলাকায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি করেছে তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।\" অন্যদিকে জয়গাঁর তোর্ষা বাগানে বুনো হাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হল চারটি ঘর ।বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তোর্ষা চা বাগানে বুনো হাতি প্রবেশ করে বুনো হাতিটি এলাকার বাসিন্দা গীতা মালপরিয়ার ঘর ভাঙতে শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ জয়ন্তীতে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হল এক এসএসবি জওয়ানের! উদ্ধার ২
তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘর ছেড়ে বাইরে যান। হাতিটি গীতা মালপরিয়া পুরো ঘর ভেঙ্গে দেয়। পরবর্তীতে হাতিটি অঙ্কিতা টুডুর ঘর ভেঙ্গে ক্ষতিগ্ৰস্থ করে। এছাড়া হাতিটি অন্য দুটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত করে। শুক্রবার ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসেন বনদফতরের কর্মীরা।বনকর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন এলাকাবাসীরা।
Annanya Dey