সম্প্রতি একটি দাঁতালের হানায় রাভা বস্তি ও তার আশেপাশের এলাকায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।বন দফতর সূত্রে খবর, 'খুনে' হাতিটি আরও দুটি হাতির সঙ্গে দল বেঁধে গ্রামে হানা দিচ্ছে। যারা ঠিক সময়ে সতর্ক হয়ে বিবেচনার সঙ্গে আচরণ করছেন তারা বেঁচে যাচ্ছেন। তবে প্রাণহানির পাশাপাশি এই তিন হাতির হানায় ব্যাপক সম্পত্তিহানিও হচ্ছে।
হাতের এই তাণ্ডব নিয়ে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলদাপাড়া সংলগ্ন মাদারিহাটে এইসময় আলু, বেগুনের চাষ হয়। তার লোভেই প্রায় প্রতিরাতে নিয়ম করে হানা দিচ্ছে হাতির দল। তারা প্রথমে চাষের জমিতে লুটপাট চালাচ্ছে। তারপর হানা দেয় গ্রামে। চাষের জমিতে আক্রমণ করার সময়ই যারা গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছে তারা বেঁচে যাচ্ছে। যদিও এলাকাবাসীদের দাবি, ওই তিনটে হাতি যেভাবে একটি এলাকাকে ঘিরে ধরে তাণ্ডব শুরু করে তাতে ওদের নজর এড়িয়ে গ্রাম থেকে পালানো খুব কঠিন!
advertisement
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে ফের উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, আতঙ্ক বাড়ছে জেলায়
এই পরিস্থিতিতে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে বন দফতর মাইকিং করে সতর্কবার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও এতে কোনও লাভ হবে বলে মনে করছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি বন দফতরের অবিলম্বে ওই তিনটে হাতিকে খুঁজে বের করুক। নাহলে এরা একের পর এক প্রাণ নিতেই থাকবে। সেই সঙ্গে এলাকাবাসীদের অভিযোগ, হাতির হানার সময় যখন বন দফতরকে জানান হলেও তারা এলাকায় আসে না।
সোমবার থেকে বনকর্মীরা প্রতিটি গ্রামে গিয়ে মাইকিং করে সন্ধের পর বাইরে বের হতে নিষেধ করে দিচ্ছেন। তবে 'খুনে' হাতির সহ তার দুই সঙ্গীকে কবে ধরা হবে সেই বিষয়ে বন দফতরের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
অনন্যা দে