আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের মোমিন পাড়ায় অবৈধভাবে গরু কেনাবেচা নিয়ে দুই দলের মধ্য বিরোধ বাঁধে। বিবাদ গিয়ে পৌঁছয় হাতাহাতিতে। মারামারিতে গুরুতর আহত হন আবদুল আনসারি, দিলদার আনসারি, দিল মহম্মদ আনসারি। এই আহতরা যশোডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এলে সেখানে ফের তাঁদের উপর হামলা হয়। হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে এই আহতদের মারধর করে প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর লোকজন। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় হাসপাতাল চত্বর।
advertisement
আরও পড়ুন: মেঘালয়ের কৃষকদের 'হাইড্রোফনিক' পদ্ধতিতে চাষের পাঠ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের
অভিযোগ এই সময় ওই আহতদের মারধরের পাশাপাশি হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের আক্রমণ করা হয়। ভাঙচুর করা হয় বিভিন্ন আসবাবপত্রে। উভয় পক্ষের মারামারির জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স সকলে। এরই মধ্যে ৮ অভিযুক্ত হাসপাতালের রোগীদের মাঝে ঢুকে গিয়ে ওয়ার্ডের দরজা বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনার পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শামুকতলা থানায় খবর দেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে শামুকতলা থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ রোগীদের মাঝখান থেকে আট অভিযুক্তকে টেনে বের করে আনে। দুষ্কৃতীরা একটি ভাঙাচোরা পুরানো গাড়ি নিয়ে হাসপাতালে এসেছিল। সেটাও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই গাড়িটি নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে মোমিন পাড়া এলাকায় একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্ম চালানো হচ্ছিল। এই ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হাসপাতালের বাকি রোগীরা।
অনন্যা দে