এই তোর্সা নদীর পাড়ে কখনও গঙ্গা আরতির দেখা মিলবে সত্যিই এর আগে কল্পনাও করতে পারেনি আলিপুরদুয়ারবাসী। তবে সেটাই এবার বাস্তব হল।
হাসিমারায় তোর্সা নদীর পাড়ে রবিবার গঙ্গা আরতির খবর শুনে দুপুর থেকেই ভিড় করতে শুরু করেন এলাকাবাসী। নদীর পারে যারা আগে থেকে এসে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁরা সেই সন্ধেতে আরতি শেষ না হওয়া পর্যন্ত জায়গা ছেড়ে যাননি। আর বাকিরা হাসিমারার তোর্সা সেতু থেকেই আরতি দর্শন করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: স্কুলে কিচেন গার্ডেন তৈরি করে মিড-ডে মিলের সবজি ফলাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা
এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে এই আরতি আয়োজিত হয়। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় হাসিমারা তোর্সা কালীমন্দির কমিটি। বারাণসী থেকে আসা অভিজ্ঞ পুরোহিতরা এই আরতি করেন। ঘড়িতে বিকেল পাঁচটা বাজতেই সম্মিলিত শঙ্খনাদে মুখরিত হয়ে ওঠে কোথায় এলাকা। চারদিক থেকে জয়জয়কারের ধ্বনি শোনা যায়। এরপর একে একে ধূপ, প্রদীপ দেখিয়ে গঙ্গা আরতি চলতে থাকে। তোর্সা পাড়ের এই গঙ্গা আরতি অনেকেই মোবাইল ক্যামেরায় বন্দী করে রাখেন। এই আরতি দেখে আপ্লুত এলাকার মানুষ।
সব ঋতুতেই তোর্সা নদীতে জলের পরিমাণ প্রচুর থাকে। তাই ঘাটে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য মোতায়েন ছিল পুলিশ। আয়োজকদের তরফে বলা হয়, আলিপুরদুয়ার প্রান্তিক জেলা। অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের। তাঁরা বারাণসী যাওয়ার সুযোগ পান না। তাই তাঁদের কাছে একটুকরো বারাণসীর গঙ্গা আরতির স্বাদ এনে দেওয়ার চেষ্টা করা হল। তবে এত যে ভিড় হবে তা আশা করেননি আয়োজকরা। যদিও প্রশাসন তৎপর থেকে কোনও বিপদ ঘটেনি।
অনন্যা দে