সমগ্র কালচিনি ব্লকে কৃষিকাজ হয় না। জায়গাটা একটু অনুর্বর ধরনের। তবু এখানকার লতাবাড়ি ও মেন্দাবাড়ি এলাকায় বেশ কিছুটা চাষাবাস হয়। এই দুই জায়গার মানুষ মূলত কৃষিকাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু এই এলাকায় এখনও জলসেচের ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ফলে কৃষকদের বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে বসে থাকতে হয়। এদিকে সর্ষে চাষ শীতেই হয়। যদিও সর্ষে চাষ করতে বেশ কিছুটা জলও লাগে। যে দু-চারজন কৃষকের আর্থিক সামর্থ্য আছে তাঁরা নিজের পকেটের টাকা খরচ করে মোটর কিনে চাষের জমিতে জল দিয়েছেন। কিন্তু বাকিরা সেটা করে উঠতে পারেননি। এদিকে এই বছরের শীতে বৃষ্টিও বিশেষ একটা হয়নি। ফলে জলের অভাবে মাঠের সর্ষে মাঠেই নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্র, ব্রহ্মাস্ত্র, নিমাস্ত্র প্রয়োগ করে বিপুল লাভ করছেন কৃষকরা! ব্যাপারটা কী?
কালচিনির কৃষকদের অভিযোগ, সেচের অসুবিধার কথা জানিয়ে তাঁরা বারবার কৃষি দফতরকে জানানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দফতরের আধিকারিকদেরই দেখা পাওয়া যায়নি। কোনও কৃষক দু'বিঘা আবার কেউ ৭ বিঘা জমিতে সর্ষের চাষ করেছেন। এই অবস্থায় তাঁদের আশঙ্কা, হয়ত চাষের খরচটুকুও উঠবে না। লাভ তো দূরের কথা। যদিও কালচিনি পঞ্চায়েত সমিতির বনভূমি কর্মাধক্ষ রোশন ওরাঁও জানান, তাঁরা সেচের ব্যবস্থার বিষয়ে দ্রুত কৃষি দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। কৃষকদের আগামী দিনে আর জল সেচ ব্যবস্থার অভাবে ভুগতে হবে না বলেও আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন তিনি।
অনন্যা দে