কিন্তু সেই ঝুলন্ত সেতু দীর্ঘদিন থেকে বেহাল হয়ে পড়েছে। সেতুর পাশে 'দুর্বল সেতু ,সাবধানে চলাফেরা করুন', নোটিস ঝুলিয়ে দিয়েছে বনদফতর। পর্যটকদের আকর্ষিত করার পাশাপাশি ছিপড়া বিটের বনকর্মী এবং রাভা বস্তির বাসিন্দাদের যাতায়াত করার একমাত্র পথ ওই সেতুর ওপর দিয়েই।কিন্তু ঝুলন্ত সেতুর জরাজীর্ণ অবস্থায়ও স্থানীয় মানুষ সহ বনকর্মীরা প্রাণ হাতে নিয়ে পারাপার করেন ওই সেতু। যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভুটানে প্রবেশে পথচারীদেরও দিতে হবে কর, কত টাকা দিতে হবে? জানুন
একটা সময় ধওলা নদীর ওপর এই জায়গায় কাঠের একটি সেতু ছিল। কিন্তু ১৯৯৩ সালে বন্যায় সেই সেতু ভেসে যায়। এরপরই সেখানে ঝুলন্ত সেতু তৈরী করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেতু তৈরি হওয়ার পর রক্ষনাবেক্ষণ ঠিকমতো করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা হলেও মেরামত করার কোন উদ্যোগ নেয়নি বনদফতর বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের তরফে জানান হয়, সেতুটির বিষয়ে রাজ্য সরকারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, অনুমোদন এলেই পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
আরও পড়ুনঃ 'অসুখী দাম্পত্য, সন্তানকে পৃথিবীতে আনব কিনা বহুবার ভেবেছি', মেয়ের জন্মদিনে যা লিখলেন বৈশাখী...
এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন ভোটের আগে এই সেতু তৈরি করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি মেলে প্রচুর। কিন্তু পরে আর সেটা নিয়ে কিছু হয় না। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের মরবি জেলায় বড়সড় দুর্ঘটনা। মাছু নদীর ওপর নির্মিত ক্যাবল ব্রিজটি হঠাৎ ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় সেতুতে প্রায় ৪০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ১০০ জন সরাসরি নদীতে পড়ে যান। মাচু নদীর ওপর নির্মিত এই কেবল সেতু বেশ পুরনো ছিল বলে জানা গিয়েছে। এটি হেরিটেজ সেতুর অন্তর্ভুক্ত। দীপাবলির পরে,সেতুটি মেরামত করা হয় এবং পুনরায় চালু করা হয় যাত্রীদের জন্য। সেতুটি মেরামতের জন্য প্রায় ৭ মাস বন্ধ ছিল।
Annanya Dey