বছরের অন্যান্য সময় কালজানি নদীতে তেমন জল থাকে না। কিন্তু বর্ষার মরশুম শুরু হওয়ার আগে অল্প বৃষ্টিতে জলস্তর বৃদ্ধি হতে থাকে কালজানি নদীর। ভরা বর্ষায় ফুলে ফেঁপে ওঠে কালজানির জল। বিধ্বংসী রূপ নেয় কালজানি নদী। নদীর বিধ্বংসী রূপ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাঁতালি নাকাডালা এলাকার বাসিন্দারা। নদীর পাশে জমিতে কৃষিকাজ করেন এলাকার বাসিন্দারা। ধান,পাট,সরষে চাষ বেশি হয় এই জমিতে। জানা যায়,গতবছর বর্ষায় সাঁতালি নাকাডালা এলাকায় কালজানি নদীর ২০০ মিটার বাঁধ ভেঙ্গে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: মিজোরামে ভয়াবহ বাড়ছে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু, মৃত ৫ হাজার শূকর! নিধন চলছে আরও...
এর ফলে গ্ৰামের অধিকাংশ মানুষের কৃষিজমি নদী গর্ভে চলে যায়।নদীতে বিলীন হয়ে যায় বাঁশঝাড় সহ মুল্যবান কাঠের গাছ। সেসময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গ্রামের মানুষের জীবিকা। বেঁচে যাওয়া জমিতে নতুন করে ফসল ফলাতে শুরু করেছিলেন তারা। এবছর নদী গর্ভে এই জমিটুকু চলে যেতে পারে বলে তাদের ধারণা। কালজানি নদীর পাশে অবস্থিত সাঁতালি নাকাডালা গ্রামে রয়েছে ষাটটি পরিবারের বসবাস। নদীর পাড়ে পাকা বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ভাঙনের আতঙ্কে সকলে। এবারে নদীর জল গ্রামে প্রবেশ করে বসতজমি কেড়ে নেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞাতেও হল না কাজ, ক্লাবের মধ্যে এ কী কাণ্ড! ক্ষোভে পুড়ছে গোটা পাড়া
কালজানি নদীর বাঁধ নির্মাণের জন্য এলাকার বাসিন্দারা বহুবার সেঁচ দফতর থেকে শুরু করে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন।কিন্তু আবেদনে সাড়া মেলেনি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। বর্ষার মরশুম শুরু হতে যাচ্ছে। কালজানি নদীতেও বাড়ছে জল। রাতে বৃষ্টি হলে নদীর জলের আওয়াজ বাড়তে থাকে। এই শব্দেই দুচোখের পাতা এক করতে পারেন না গ্রামবাসীরা। এই বুঝি নদীর জল গ্রামে প্রবেশ করল। এই আতঙ্ক মনে চেপে বসেছে তাদের।
অনন্যা দে