গ্রামটি পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত হলেও এটি আদতে একটি ভুটিয়াদের গ্রাম। এখানকার সকল অধিবাসীই ডুকপা সম্প্রদায়ের। প্রায় সত্তর-আশিটি ঘরে লোক রয়েছে। আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বাস করেন। এই গ্রামের মানুষের প্রধান জীবিকা চাষাবাদ।গ্রামের মাঝে তিব্বতি গুম্ফা। চারধারে প্রার্থনা পতাকা। ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার পরে চীনা ও তিব্বতিরাও এসব অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে।
কীভাবে যাবেন ও কী কী দেখবেন- রাজাভাতখাওয়া থেকে প্রায় ১৫ কিমি গাড়িতে করে যাবার পর ৬ কিমি ট্রেকিং রুট। পথে পড়বে বক্সা ফোর্ট। এই ট্রেকিং রুটে যাওয়ার পথেই পড়ে সদর বাজার। এখানে একটু জিরিয়ে নিতে পারেন। পাহাড়ি মানুষদের হাতে তৈরি চা,কফি,মোমো খেয়ে হাঁটুন বক্সা দুর্গের উদ্দেশ্যে।এখানে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বন্দি করে রাখত ব্রিটিশ সরকার যদিও সেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা স্বাধীনতা সংগ্রামী বন্দী বিপ্লবীদের উদ্দেশ্যে লেখা কবিতার স্তম্ভ ছাড়া আর তেমন কিছু দেখতে পাবেন না।কারণ বক্সা দুর্গে সৌন্দর্যায়নের কাজ চলায় প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।সামনেই রয়েছে বক্সা ডাকঘর ও বক্সা মিউজিয়াম।
advertisement
বক্সা ফোর্ট এর পরে আপনাকে স্বাগত জানাবে লেপচাখা গ্রাম। বক্সা ফোর্ট থেকে মাত্র এক ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যায় লেপচাখা।যার নৈসর্গিক দৃশ্য মুগ্ধ করবে সকলকে। এখানে সূর্যোদয় মিস করা যাবে না। সূর্যোদয় দেখার জন্য যেতে হবে রোভার্স ভিউ পয়েন্ট।
লেপচাখার গুগল লকেশন-
লেপচাখা থেকে কোথায় কোথায় ঘুরবেন-
লেপচাখা থেকে ট্রেক করে যাওয়া যায় রোভার্স পয়েন্ট ও রুপম ভ্যালি।যারা পাহাড়প্রেমী তারা রূপম ভ্যালি (১৪ কিমি) ট্রেক করতে চাইলে সঙ্গে টেন্ট ও খাবার থাকা বাঞ্ছনীয়।
লেপচাখায় থাকার ব্যবস্থা-
লেপচাখায় থাকার জন্য গোটা পাঁচেক হোম স্টে আছে। ব্যবস্থা বেশ ভালো। থাকা-খাওয়া জন প্রতি, প্রতিদিন ৮০০ টাকা। আছে সন্ধ্যায় camp fire এর সুব্যবস্থা।লেপচাখার ইকো হাটে আপনাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত থাকেন চামা ডুকপা, তেনজিং ডুকপাদের মতো অনেকেই। ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে থাকার রুম পাওয়া যায় লেপচাখা ইকো হাটে। বিদ্যুৎ থাকলেও তা বেশ অনিয়মিত। তবে, সৌরবিদ্যুৎ রয়েছে।
আরও পড়ুন: চলন্ত গাড়িতে হঠাৎ ধোঁয়া! মাথায় এসে পড়ল বাজ! তারপর? ভয়াবহ ঘটনা
কীভাবে যাবেন-
কলকাতা থেকে ট্রেনে নিউ আলিপুরদুয়ার বা আলিপুরদুয়ার জংশন। সেখান থেকে ট্যাক্সি বা অটো করে ৩২ কিলোমিটার দূরে সান্তালাবাড়ি।সেখান থেকে গাড়িতে চেপে জিরো পয়েন্ট।এরপর গাইড নিয়ে ৬ কিমি ট্রেক করে যেতে হবে লেপচাখা।
Annanya Dey