যদিও বন দফতরের তরফে জানা যায় দুটি ভাল্লুক প্রবেশ করেছিল কালচিনি ব্লকের দক্ষিণ লতাবাড়ি গ্ৰামে।এই খবর চাউড় হতেই শুক্রবার সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ লতাবাড়ি এলাকায়। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি গতকাল রাত প্রায় দুটো নাগাদ ভাল্লুক গ্ৰামে প্রবেশ করেছে এবং ভাল্লুক এলাকার বাসিন্দা উমেশ ঠাকুরের পালিত শূকর টেনে নিয়ে যায়।গ্রামবাসীদের দাবি তিনটি ভাল্লুক তারা দেখেছেন।এরমধ্যে একটি বড় ভাল্লুক পালিয়ে যায় জঙ্গলে।
advertisement
আরও পড়ুন: চতুর্মুখী শিবের পঞ্চম মুখটি কার? জাগ্রত 'বাবা পঞ্চমুখী ধাম'-এর অলৌকিক কাহিনি জানুন
শুক্রবার সকালে দক্ষিণ লতাবাড়ি এলাকায় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনকর্মীরা ও আধিকারিকরা পৌঁছায়,কালচিনি থানার পুলিশ পৌছেছে । যদি ও শুক্রবার সকাল থেকে ভাল্লুককে দেখা যাচ্ছিল না। তবে গ্ৰামবাসীরা বলেছিলেন, ভাল্লুক দুটি পাশে ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে রয়েছে। ঘটনাস্থলে বনকর্মীরা গিয়ে নেট দিয়ে এলাকা ঘিরে দেয় ।এরপরেই একে একে দুটি ভাল্লুক উদ্ধার করে নিয়ে যায়।তবে এই উদ্ধারকাজে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় বনকর্মীদের। বড় ভাল্লুকটিকে ট্রাঙ্কুলাইজ করা হয়েছে।ছোট ভাল্লুকটিকে জালের সাহায্যে ধরা হয়।জানা যায়,ছোট ভাল্লুকটি একজন গ্রামবাসীকে আহত করেছে।বড় ভাল্লুকটিকে রাজাভাতখাওয়া প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভাল্লুকগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর গ্রামের মানুষদের মধ্যে শান্তি ফিরে এসেছে।সকলেই নিশ্চিত হয়েছেন।
Annanya Dey