এর আগে গত ২০১৯ সালে ওই দুই অভয়ারণ্যে গণ্ডার সুমারি হয়েছিল। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সেবার জলদাপাড়ায় ২৩১টি এবং গরুমারায় ৫২টি গণ্ডারের হদিশ মিলেছিল। ১৯২০ সালে গণ্ডার সুমারি শুরুর পর্ব থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গণ্ডারের হদিশ মিলেছিল সেবারই। তার আগে ২০১৫ সালের সুমারিতে জলদাপাড়ায় ২০৪ এবং গোরুমারায় ৪৯টি গণ্ডারের সন্ধান পায় বনদপ্তর। তবে এবারের সুমারিতে গণ্ডারের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে বন দফতর। বনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বনকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গাইড এবং জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য মিলিয়ে মোট ৪২৫ জন অংশ নেন গণ্ডার সুমারিতে। তার মধ্যে বনকর্মীর সংখ্যা ২৮২।
advertisement
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ২৩২ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে জাতীয় সড়ক এবং বনবস্তি এলাকা বাদ দিয়ে ১৫০ বর্গ কিলোমিটারে গণনা হয় গণ্ডারের। কুনকি হাতির পিঠে চড়ে বনকর্মী ও গণ্ডার সুমারির কাজে যুক্ত প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলে এ দিন গণ্ডার সুমারি শুরু করেন। প্রথমদিকে বেশ কয়েকটি গন্ডার শাবকের দেখা মিলেছে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ২০২২ সালের গণ্ডার সুমারিতে জলদাপাড়ায় গণ্ডারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯২টি।গরুমারাতে গণ্ডারের সংখ্যা বেড়েছে পঞ্চান্নটি।
এ বার গণ্ডারের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনুমান ছিল বনকর্মীদের একাংশের।তবে ৩০০-র কাছাকাছি যায় সেই সংখ্যা।বন দফতরের তরফে গণ্ডার সুমারি উপলক্ষে পর্যটকদের জন্য দু’দিন বন্ধ রাখা হয়েছিল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। গোটা এশিয়ায় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান একশৃঙ্গ গণ্ডারের বাসস্থানের জন্য অন্যতম একটি জঙ্গল। তাই এখানে গণ্ডারের সংখ্যার উপর তার নিরাপত্তা, রক্ষণাবেক্ষণ ও বিভিন্ন বিষয় নির্ভর করে।
আরও পড়ুন: বুর্জ খলিফার পর মালয়েশিয়ার টুইন টাওয়ার দেখতে ভিড়! যাবেন নাকি এই মণ্ডপে!
অন্যদিকে গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগ ও জলপাইগুড়ি বন বিভাগের জঙ্গলে এই গণ্ডারের সুমারিতে ১৭ টি কুনকি হাতিকে ব্যবহার করা হয়।গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ২৫২ বর্গ কিলোমিটার এলাকার গণনা হয় গন্ডারের। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের অধিনে ২০ টি রেঞ্জ রয়েছে। কুনকি হাতির পিঠে চড়ে বনকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা গন্ডার গণনার কাজে যুক্ত হয়েছেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা গরুমারা জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলে এ দিন গণ্ডার গণনা করেন।
Annanya Dey