কালচিনি ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকা দলদল বস্তি বর্তমানে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। খরস্রোতা পাহাড়ি পানা নদী ও বাসরা নদী পেরিয়ে যেতে হয় দলদলবস্তি এলাকায়। ভুটান পাহাড়ের বৃষ্টি ও এলাকায় বৃষ্টির ফলে ফুলে ফেঁপে উঠেছে পানা নদী ও বাসরা নদী।এই দুই নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে দলদলবস্তি।
প্রধান এলাকা কালচিনির সঙ্গে যোগাযোগ নেই একমাস হল।এই খবর কালচিনির বিডিও-র কানে পৌঁছতে তিনি সিদ্ধান্ত নেন গ্রামবাসীদের কাছে যাবেন।খোঁজ নেবেন তাদের। এখানেই ঘটে বিপত্তি। নদী পেরতে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছিলেন বিডিও প্রশান্ত বর্মণ।ভয় পেয়েই চিৎকার জুড়ে দেন তিনি।বিডিও-কে ভেসে যেতে দেখে দফতরের অন্যান্য কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েন তাকে উদ্ধার করতে।অবশেষে অনেক কষ্টে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
advertisement
খুব সাবধানে নদী পেরিয়ে দলদলবস্তিতে যান বিডিও প্রশান্ত বর্মণ ও দফতরের অন্যান্য কর্মীরা।বিডিও-কে কাছে পেয়ে দলদলবস্তি বাসিন্দারা জানান তাদের সমস্যার কথা। দলদলবস্তির বাসিন্দারা জানান, প্রতিবছর বর্ষায় তিনমাস গৃহবন্দী হয়ে পড়েন তারা।যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কালচিনির সঙ্গে। বাজার যেতে পারেননা গ্রামবাসীরা। ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারেনা।বর্ষার এই তিনমাস মনে হয় তারা যেন অন্য দুনিয়ার বাসিন্দা।
বর্তমানে খুবই সমস্যা মধ্যে দিন যাপন করছেন। দলবদলবস্তি এলাকার বাসিন্দারা অনেকেই একবেলা আবার কেউ আধপেট খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।ঘরে জল প্রবেশ করলে রান্না বন্ধ থাকে।এভাবে না খেয়েই কাটিয়ে দিতে হয় দিনের পর দিন। বৃহস্পতিবার কালচিনি ব্লকের বিডিও এবং দফতরের অন্যান্য কর্মীরা যান। প্রশাসনের আধিকারিকরা এলাকায় পৌছায় জনগণের সাথে কথা বলেন এবং সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মণ জানান,"দলদলবস্তি এলাকার বাসিন্দারা দারুন সমস্যার মধ্যে রয়েছেন।নদীদুটি যে রূপ নিয়েছে তাতে যেকোনও মুহুর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। শীঘ্র এই এলাকায় ব্লক প্রশাসনের তরফে শিবির হবে।যারা সরকারি সুবিধা পাননি তাদের সেইসকল সুবিধা পাইয়ে দেওয়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।এলাকার সকলকে ত্রাণ দেওয়া হবে।"
Annanya Dey