পাশাপাশি বঙ্গমৎস্য যোজনার অধীন আইস বক্স-সহ ৩ টি মোটরবাইক মৎস্যজীবীদের হাতে তুলে দিলেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক। জানা যায়, চতুর্থ দুয়ারে সরকারে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৎস্য রেজিস্ট্রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন ৩ হাজার মৎস্যজীবী। সেই সমস্ত মৎস্যজীবীদের মৎস্যজীবী রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণ করা হয়। জানা গিয়েছে মৎস্যজীবীরা এই রেজিস্ট্রেশন কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে পাঁচ লক্ষ টাকা বিমার সুবিধা পাবেন। এমনকী এই কার্ডের মাধ্যমে প্রয়োজনে বাৎসরিক ৭ টাকা সুদের হারে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণের সুবিধাও পাবেন। ফলে বাজার থেকে ব্যবসার জন্য মৎস্যজীবীদের আর চড়া সুদে ঋণ করতে হবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: ১০ টাকার চিপসের প্যাকেটে কতটা চিপস থাকে? জানলে হতবাক হবেন আপনি!
মৎস্য ব্যবসায়ীরা বঙ্গ মৎস্য যোজনার অধীন মোটরসাইকেল, বাই সাইকেল, ট্রাই সাইকেল উইথ ইনসুলেটেড বক্স কিনতে পারবেন। তাতেও সহযোগিতা করবে মৎস্য দফতর। তফশিলি মৎস্য ব্যবসায়ীরা এই সমস্ত জিনিস কিনলে ৬০% ও অন্যান্যরা ৪০% ছাড় পাবেন দফতরের পক্ষ থেকে। ফলে সমস্ত ঘটনায় আশার আলো দেখছেন আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন মৎস্যজীবীরা।
আরও পড়ুন: গ্রুপ ডি-তে সদ্য চাকরি-হারা ১৯১১ জন, ওয়েটিং লিস্টের ১৪৪৪ জনের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন
এ বিষয়ে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা বলেন, "মৎস্যজীবী রেজিস্ট্রেশন কার্ডের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা বিভিন্ন বাজার ঘাটে ঘুরে ঘুরে মৎস্যজীবীদের সচেতন করেছেন। এর পরেই দুয়ারে সরকারে ৩ হাজার মৎস্যজীবী রেজিস্ট্রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেন। সমস্ত আবেদনকারীদের কার্ড তৈরি হয়ে গিয়েছে। আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে আমরা ১৯ জনকে সেই কার্ড বিতরণ করলাম। বাকিদের ধীরে ধীরে দফতরের পক্ষ থেকে কার্ড গুলি প্রদান করা হবে।'
এছাড়াও বঙ্গ মৎস্য যোজনার অধীন ৩ টি মোটরবাইক প্রদান করা হয়। আরও সাতটি বাইক সম্পত্তি বিতরণ করা হবে। এখনও অনেক মৎস্যজীবী এই ধরনের সরকারি উদ্যোগের বিষয়ে জানেন না। তাঁরা আগামী দিনে দুয়ারে সরকারে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করলে দফতরের তরফে সেই সমস্ত মৎস্যজীবীদেরও রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রদান করবে সরকার। আশা করা যায় আগামী দিনে জেলায় মৎস্যজীবীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সংখ্যা আরও বাড়বে। এর ফলে জেলার সমস্ত স্তরের মৎস্যজীবীরা উপকৃত হবেন।
অনন্যা দে