স্বাধীনতার পূর্বের এই রথযাত্রায় ব্রিটিশ সাহেবরা অংশগ্রহণ করতেন বলে জানা যায়।রথের দড়ি টানতেন সাহেবরাও।বহু স্মৃতিবিজড়িত এই রথযাত্রা হ্যামিল্টনগঞ্জবাসীদের আবেগ।করোনা পরিস্থিতিতে গত দুবছর রথযাত্রার দিনে নিয়মমাফিক পুজোর আয়জন হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন না দর্শনার্থীরা। তবে সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে এবছরের রথযাত্রা নিয়ে উচ্ছসিত হ্যামিল্টনগঞ্জবাসী। রথযাত্রা ছাড়াও ১০ দিন ব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
advertisement
এই মেলায় বোলপুর, বীরভূম, কোচবিহার,দিনহাটা সহ রাজ্যের একাধিক জেলার ব্যবসায়ীরা দোকান দিয়েছেন।মনোরঞ্জনের জন্য নাগরদোলা নিয়ে আসা হয়েছে মেলায়।ব্যবসায়ীদের কথায় করোনার কারনে গত দুবছর চরম ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তারা লাভের মুখ দেখবেন,এই আশা রাখছেন।
বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে রথের দড়ি টানতে হ্যামিল্টনগঞ্জ কালীবাড়ির মাঠে হাজির হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। হ্যামিল্টনগঞ্জ কালি মন্দির থেকে বের হয়ে রথটি একাধিক এলাকা পরিক্রমা করে ফরোয়ার্ড নগরে এসে দাঁড়ায়। এখানেই আগামী ৭ দিন থাকবে রথটি।তবে সম্প্রতি যেভাবে বৃষ্টি চলছে, এই আবহাওয়া থাকলে ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা।কারণ বৃষ্টিতে খুব কম মানুষই মেলায় আসবেন বলে তাদের ধারণা। হ্যামিল্টনগঞ্জ রথযাত্রা কমিটির পক্ষ থেকে জানা যায়,গত বছর এখানে কালীপুজোর মেলা সহ কোনো মেলায় হয়নি।তাই এলাকাবাসীর অনেকটাই মন ভার ছিল। এবছর তাদের কথা মাথায় রেখেই রথযাত্রা ও তার সঙ্গে মেলার আয়জন করা হয়েছে। মেলায় সাফল্য মিলবে আশা তাদের।
Annanya Dey