Published by Rukmini Mazumder 24-11-2025
ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। কিন্তু এত গুণ থাকা সত্ত্বেও, ফুলকপি সবার জন্য নয়! কারা ফুলকপি খাবেন না?
পেট-ফাঁপা–ফুলকপি এবং অন্যান্য ক্রুসিফেরাস সবজিতে র্যাফিনোজ নামের একটি কমপ্লেক্স সুগার থাকে। এটি হজম করা কঠিন। উলটে বৃহদান্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়া এটিকে ফারমেন্ট করে। এর ফলে পেট ফাঁপা, গ্যাস এবং অন্যান্য গ্যাস্ট্রিক সমস্যার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
অ্যালার্জি–অনেকেরই ফুলকপি খেলে অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকে চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, শরীরের নানা অংশে ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
থাইরয়েডের সমস্যা–ফুলকপি শরীরে টি-৩ এবং টি-৪ হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে আর এই দু’টি হরমোন বাড়লে থাইরয়েডে আক্রান্তদের সমস্যা হয়। কাজেই থাইরয়েডের সমস্যায় ফুলকপি এড়িয়ে চলুন।
খিদে কমে যাওয়া– ফুলকপিতে কম পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ও বেশি পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। কাজেই ফুলকপি খেলে অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভার লাগে।
হাই ব্লাড-প্রেশার– ফুলকপিতে বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা রক্ত ঘন করে তোলে! কাজেই যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা ফুলকপি খাবেন না।
ব্লাড থিনার-এর মতো ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে–যদি ব্লাড থিনারের মতো ওষুধ খান, তাহলে ফুলকপি খাবেন না। কারণ, ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন কে যা ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ভেশি পরিমাণে ভিটামিন কে শরীরে ঢুকলে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা বেড়ে যায়।